The Dhaka Times Desk ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের কথা নতুন ভাবে বলার কিছু নেই। নোবেল বিজয়ী ইয়াসির আরাফাতের সারাজীবনের চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। প্রতিদিনের যুদ্ধের ডামাডোলে থাকা এই ফিলিস্তিনিতে এক নারী গড়েছেন এক অনন্য বাগান।
ফিলিস্তিনির এই নারীটির বাগানটি হলো একটি গ্রেনেড বাগান। না, ভয় পাবেন না এই গ্রেনেড হন্তারক নয় বরং শান্তির বার্তাবাহক। এই নারীটি গ্রেনেডের শেল বা খোলসে ফুলের চারা লাগিয়ে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বিশ্বের নেতৃবৃন্দদের দেখিয়েছেন শান্তির বার্তা।
ফিলিস্তিনি আর ইসরায়েলী সেনাবাহিনীর প্রতিনিয়ত চলা সংঘর্ষের মাঝে ইসরায়েলী সেনাবাহিনী ছুঁড়ে মারে গ্রেনেড। সেই গ্রেনেডের আঘাতে প্রতিদিনই কোন না কোন ফিলিস্তিন মারা যাচ্ছে কিংবা পঙ্গু হচ্ছে।
এই নারী সেই সকল সংঘর্ষের পর পড়ে থাকা গ্রেনেডগুলো কুড়িয়ে তাতে ফুল গাছ লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি প্রতিদিন এই বাগানের পরিচর্যা করেন। তার এই পরিচর্যার ফলশ্রুতিতে গ্রেনেডের বুক ছিঁড়ে ফুটে উঠেছে ফুল। এ যেন এক ঐশ্বরিক শান্তির বার্তা।
প্রতিদিনের মতো তিনি তার বাগানের পরিচর্যা করছেন। গাছগুলোর কোথাও কোন আগাছা জন্মালো কিনা কিংবা তাদের আলো এবং পানির সমস্যা হচ্ছে কিনা তার দেখাশুনা করছেন। তার এই বাগানকে ঘিরে তিনি স্বপ্নের জাল বুনছেন। স্বপ্ন দেখছেন তার এই বাগানটি হবে কোন একদিন স্বাধীন দেশের একটি ফুলের বাগান।
রামাল্লাহ শহরের বিলিন নামক এলাকায় গড়ে উঠেছে এই বাগান। ছবিতে নারীটি গ্রেনেডের খোলসে মাটি দিচ্ছেন। এই গ্রেনেডের খোলসেই বোনা হবে গাছ।
তাকে প্রতিদিনের এই বাগানের কাজে সাহায্য করেন তার ছেলে মেয়েরা। তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র তার ছেলেমেয়েরা নয় স্থানীয় অনেক শিশু কিশোররাই তার এই বাগান করার পেছনে সাহায্য করছেন। তারা সংঘর্ষের ময়দান থেকে গ্রেনেডের খোলস যোগাড় করে দেয়। বাগানের পরিচর্যায় সাহায্য করে।
তার এই বাগানে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ থেকে বোঝা যায় ফিলিস্তিনিরা স্বাধীনতার জন্য কতটা মুখিয়ে আছে। তারা চাচ্ছে শান্তি। এই শান্তির জন্য কতটা জীবন আরো বিসর্জন দিতে হবে তা শুধু সৃষ্টিকর্তাই জানেন।