The Dhaka Times Desk হবিগঞ্জের সাতছড়ি থেকে বাঙ্কার আবিষ্কার ও সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধারের পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে সাতছড়ির বাসিন্দারা।
এই সাতছড়ির গভীর জঙ্গলেই এক সময় আস্তানা গেড়েছিল ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তারা এই জঙ্গলেই বসবাস করতো। এলাকার অনেকেই জানতেন বিষয়টি কিন্তু কেও ভয়ে কখনও মুখ খোলেননি। র্যাবের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের পর এলাকাবাসী আবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা নানা শংকায় দিন কাটাচ্ছেন।
সংবাদ মাধ্যমকে এমনই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসী বলেছেন, ‘যা কপালে আছে হইবো। তারা যদি আবার ফিরা আইসা আমাগো আক্রমণ করে তো কিছু করার নাই। আমরা তো আর হেগো আটকিয়ে রাখবার পারতাম না’। এভাবেই কথাগুলো বলেছেন হবিগঞ্জের সাতছড়ির টিপরা পল্লীর এক বাসিন্দা। তাদের চোখে-মুখে এক অজানা আতঙ্কের ছাপ।
এলাকাবাসীরা জানান, ১০/১২ বছর আগে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এ জঙ্গলের ভেতরেই বসবাস করতো। এখন তাদের আর দেখা যায় না। ৭/৮ বছর আগে যৌথবাহিনী তাদের ঘাঁটিতে অভিযান চালায়। এ সময় তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দেয়া হয়। তারপর থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আর এই এলাকায় দেখা যায়নি। এলাকাবাসীরা জানান, ওরা মাঝে মধ্যে বাজার করতে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলও করতো। তবে যে এলাকায় তারা থাকতো সেখানে কাওকে কখনও যেতে দিতো না তারা।
সাতছড়ির বাসিন্দারা আরও জানান, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সংখ্যায় হাজার খানেক ছিল। ওরা নারী-পুরুষ গভীর জঙ্গলে বসবাস করতো। কয়েকজন মহিলা সেলাইয়ের কাজও করতো। তবে এলাকার কেও ভয়ে তাদের কাছে যেতো না। অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে তাদের ঘরবাড়ি স্থায়ীভাবে ভেঙে দিলে ওরা আর এখানে বসবাস করতে পারবে না। এলাকার সাধারণ মানুষ আরও মনে করে, র্যাব স্থায়ীভাবে সাতছড়িতে বসবাস করলে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এখানে ঘাঁটি করতে আর সাহস পাবে না।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গতদুদিন অভিযান চালানো হয় সেখানে। গর্ত খোঁড়াখুড়ির পরও সেখানে কোনো অস্ত্রের সন্ধান পায়নি র্যাব। যে পর্যন্ত র্যাব নিশ্চিত না হবে যে পাহাড়ের ভেতরে অস্ত্র নেই- সে পর্যন্ত র্যাবের অভিযান এবং অনুসন্ধান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।