The Dhaka Times Desk সাম্প্রতিককালে একটি গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমাদের এই ছায়াপথে কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন গ্রহ রয়েছে যেগুলোতে জীবনের বিকাশ হওয়া সম্ভব। নতুন এই গবেষণাটির ক্ষেত্রে এই দিক নির্দেশনা আসছে গ্রহগুলোর তাপমাত্রা, তরল জাতীয় কোন কিছুর উপস্থিতির ভিত্তি করে যা গবেষকরা নির্ধারণ করেছেন।
নতুন এই গবেষণা সম্পর্কে এর একজন গবেষক বলেন, এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা এটি বলছি না যে, অনেক গ্রহের মধ্যে জটিল প্রাণ থাকতে পারে, বরং আমরা বলতে চাচ্ছি গ্রহগুলোর এই বৈশিষ্ট্যর কারণে তাদের মধ্যে জীবনের উন্মেষ ঘটা সম্ভব। এই সকল গ্রহে জীবনের বিকাশ ঘটে থাকলেও তা কি অবস্থায় আছে সে সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা নেই। এই নতুন গবেষণাটি যৌথভাবে সম্পন্ন করেছে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, কর্নেল রিসার্চ এসোসিয়েট, ইউনিভার্সিটি অব পোর্টো রিকো, ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি।
এই গবেষণার জন্য তারা ছায়াপথের প্রায় ১০ বিলিয়ন গ্রহকে বেঁছে নেয় যাদের বেশিরভাগই সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তিত হয়। জ্যোতির্বিদরা মনে করেন এই মহাবিশ্বে আনুমানিক ২০০ থেকে ৪০০ বিলিয়ন গ্যালাক্সি রয়েছে। তাই এই বিশালাকার জগতের কোথাও না কোথাও জীবন থাকা একেবারেই অসম্ভব কিছু নয়। গবেষকরা আরো বলেন জটিল প্রাণ মানেই বুদ্ধিমান জীবন নয়। এটি এমন একটি প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা যেখানে জীবন বিকশিত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা প্রায় ১০০০ গ্রহ জরিপ করেছেন এবং মহাকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন সূত্র হিসেব করে দেখেছেন যে, গ্রহগুলোর ঘনত্ব, তাপমাত্রা, তরল পদার্থের উপস্থিতি, নক্ষত্র থেকে তারা কত দূরে অবস্থিত তার হিসেব থেকে দেখা যাচ্ছে এই সকল গ্রহে জীবনের বিকাশ সম্ভব। এই তথ্যগুলোর ভিত্তিতে তারা হিসেব করেছে বায়োলজিক্যাল কমপ্লেক্স ইনডেক্স।
বিসিআই বা বায়োলজিক্যাল কমপ্লেক্স ইনডেক্সের হিসেব থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে, কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন গ্রহে জীবনের বিকাশ হওয়া সম্ভব। ভবিষ্যতের আরো বিস্তৃত গবেষণায় হয়তো আমরা আমাদের মহাজাগতিক প্রতিবেশীদের দেখা পেতে পারি।
Reference: Times of India