The Dhaka Times
With the commitment to keep the young generation ahead, Bangladesh's largest social magazine.

redporn sex videos porn movies black cock girl in blue bikini blowjobs in pov and wanks off.

World News Brief (09-01-13)

The Dhaka Times Desk Like every week, today we will bring you interesting news from around the world - hope you like it.
Makrosa জাল
যে জাল ইস্পাতের তারের চেয়ে শক্ত

শুধু মানুষের মধ্যেই নয় ইঞ্জিনিয়ারে ইঞ্জিনিয়ারে ভরে আছে প্রকৃতিও। অবাক কাণ্ডকারখানা তাদের। যেমন মাকড়সাদের কথাই ধরা যাক। জলচর প্রাণীরা পানিতে ঢেউ তুলে অন্য জলচর প্রাণীর নজর কাড়তে চায়। ঠিক ওরকমই একটা কাজ করে মাকড়সারা। তারা টোকা দেয়, ঢেউ তোলে জালের সুতোয়। সুতোয় থাকে আঠা। পোকাটা সেই আঠার টান ছাড়ানোর জন্য ঝাপটাঝাপটি করতে থাকে। মনে রাখতে হবে, মাছি, ফড়িং এদের সকলেরই গায়ে-পায়ে, ডানায় বেশ জোর। কখনও কখনও জাল ছিঁড়ে তারা রেহাই পেয়েও যায়। কিন্তু সবসময় নয়। মাকড়সার জালের সুতো একটা মহা আশ্চর্যের জিনিস। সমান পুরু একটা ইস্পাতের তারের চেয়েও এটা বেশি শক্ত, মানে ছিঁড়তে বেশি শক্তি লাগে। সেই সঙ্গে এটা টানলে বাড়ে। আর ঠিক এই গুণটার জন্যই মাছি তার জারিজুরি খাটাতে পারে না। সে যতই পা ছুড়-ক, জালের সুতোয় টান ধরার বদলে সেটা বেড়েই চলে। আর টান না ধরলে সুতোটা ছিঁড়বে কী করে? উলটো দাপাদাপি করতে করতে পোকাগুলোই হাঁপিয়ে যায়। আরও অনেক গুণ আছে মাকড়সার জালের সুতোর। সে কারণে পৃথিবী জুড়ে বিজ্ঞানীরা কারখানায় কীভাবে তৈরি করা যায় এই সুতো, তার পথ খুঁজতে ব্যস্ত। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে সে জন্য। কিন্তু যে কথা হচ্ছিল। জাল বেয়ে আসা কম্পন থেকে মাকড়সারা ‘খবর পড়ে’, তারা পানির কম্পন থেকে বুঝতে পারে সেটা বাতাসের দোলা, নাকি বন্দি পোকার ছটফটানি, নাকি শত্রু কেউ কাঠি দিয়ে জালটাকে নাড়িয়ে দেখতে চাইছে মাকড়সারা বোকা নাকি বুদ্ধিমান।

কোনও পুরুষ-মাকড়সা স্ত্রী-মাকড়সাটার সঙ্গে ভাব করতে চাইলে জালের ধারে এসে সুতোয় একটা মিহি টোকা দেয়। জালের সুতোয় ঢেউ ওঠে। স্ত্রী মাকড়সার কাছ থেকেও জাল বেয়ে আসে একটা ঢেউ। এই ঢেউগুলো পড়ে পরস্পরের মনোভাব বুঝতে পারে। এক-একটা মাকড়সা তার নিজস্ব ভাষায় জালে টোকা দেয়। অন্য কোনও প্রজাতির সে ভাষা পড়তে পারার কথা নয়। কিন্তু ‘পোর্শিয়া’ নামে একটা মাকড়সা অন্য বেশ কিছু মাকড়সার জালের এই ভাষা রপ্ত করে ফেলেছে। তার মতলব অন্য। সে শুধু অন্যের ভাষা পড়তেই পারে না, নিজে তা নকলও করতে পারে। সুবিধামতো কোনও মাকড়সার জালের সুতোয় ঠিক তার ভাষাতেই টোকা দেয়, ধোঁকা দিয়ে আছে টেনে আনে জালবাসী মাকড়সাটিকে। তারপর তাকে কাবু করতে বেশি বেগ পেতে হয় না তাদের। এবার মনের আনন্দে সে চমৎকার ডিনার সারে।

বিচিত্র টোপিয়ারি

হরেকরকম গাছগাছালি দিয়ে সাজানো উদ্যান আমরা দেখি। কিন্তু এমন উদ্যানও আছে, যেখানে লতাগুল্ম ছেঁটে বানানো হয়েছে হাতি, ঘোড়া, বাঘ, ভালুক, পাখি, মানুষ- এরকম নানা ধরনের আকৃতি। শুধু তাই নয়, লতাগুল্ম কেটে-ছেঁটে অপূর্ব সব কারুকাজ করা হয়েছে উদ্যান জুড়ে। লতাগুল্ম ছেঁটে আকৃতি তৈরি করার এই বিদ্যাকে ইংরেজিতে বলে ‘টোপিয়ারি’, অনেক কাল আগে থেকেই পৃথিবীর বহু দেশে এর চর্চা চলে আসছে। টোপিয়ারির অনেক বিখ্যাত উদ্যান রয়েছে অনেক দেশে।

পয়সা লাগে না যে মিউজিয়াম দেখতে!

সমুদ্রের ধারেই ওয়েলিংটন বন্দর। এখানে সারাদিন জাহাজ আর নৌকার আনাগোনা। দূরে তাকালে একটা সেতু চোখে পড়বেই। এর ওপরে একটা ছোট সুদর্শন ভবন। প্রথম দেখায় অনেকে মনে করেন, এটা বুঝি প্রেক্ষাগৃহ। এর বাঁহাতে প্রাসাদোপম এক অট্টালিকা। এই অট্টালিকাটি হল নিউজিল্যান্ডের জাতীয় সংগ্রহশালা। এর নাম ‘ তে পাপা’, পাপা মিউজিয়ামাও বলা হয়। ইংরেজিতে বলা হয়, ‘আর্ট অব দ্যা নেশন’, দোতলা ভবনে বিশাল আকারের এই মিউজিয়ামটি প্রধানত মাওরি শিল্পকলাভিত্তিক। এক নতুন ধরনের সংগ্রহশালা এটি। এখানে ঢুকতে কোনও প্রবেশ মূল্য লাগে না। ভেতরে ঢুকলেই সামনে একটা বড় বোর্ডে রেস খেলার গাড়ির ছবি আঁকা আর তার ওপর লেখা ফর্মুলা ওয়ান, সংক্ষেপে এফ ওয়ান। এই মিউজিয়ামের তিন তলায় আছে সমুদ্রের নিচে আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্প প্রদর্শনী। ঘরটির নাম আর্থকোয়াক হাউস। পাশেই একটা ঘরে আগ্নেয়গিরির ভিডিও প্রদর্শন চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। চার তলায় আছে জীবন্ত ও মৃত সামুদ্রিক প্রাণী। পাঁচ তলায় আছে মাওরি জাতির জীবন-যাত্রার আদিকথা। পলিনেশিয়া থেকে আগত নিউজিল্যান্ডের আদিবাসীদের মাওরি বলা হয়। এরা ১১৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম নিউজিল্যান্ডে আসে। মাওরিকুপে নামে পলিনেশিয়ার এক ভ্রমণবিলাসী মাওরি এবং তার স্ত্রী তাদের শালতি নৌকায় চড়ে নতুনের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে এক নতুন দ্বীপের কূলে শালতি ভিড়িয়ে দ্বীপটির নাম দিয়েছিল ‘আওতেরোয়া’, যার মানে হল ‘সাদা মেঘের দেশ’, পরে এ দ্বীপই নিউজিল্যান্ড নামে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০.৪ শতাংশ মাওরি। এ মিউজিয়ামে মাওরি সভ্যতার কিছু শিল্প ও সংস্কৃতি সংরক্ষিত আছে। সেকালের ধাঁচে বাসগৃহ, আসবাবপত্র তৈরি করে সেই প্রাচীনকালের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া আছে শিল্পকলা ভাস্কর্যের বিপুল সংগ্রহ।

তে পাপা মিউজিয়ামের একটু দূরেই সাগরের ধারে রয়েছে ওয়েলিংটন মিউজিয়াম অব সিটি অ্যান্ড সি এবং নিউজিল্যান্ড আর্ট গ্যালারি।
এ দুটিতে প্রবেশ অবাধ। ঢুকতে কোনও অর্থকড়ি লাগে না। প্রথমটিতে রয়েছে ওয়েলিংটন বন্দরের উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ, আমদানি, রফতানি ইত্যাদির তথ্যভিত্তিক প্রদর্শনী আর দ্বিতীয়টিতে আছে ভালো ভালো ছবি ও ভাস্কর্যের বিপুল সংগ্রহ। এই আর্ট গ্যালারিতে সারাবছর ধরেই নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, গল্প বলার অনুষ্ঠান ইত্যাদি হয়ে থাকে। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে কেবলকার ল্যাম্বটন কিউরে স্টেশন আছে। এটাই হল ওয়েলিংটনের প্রসিদ্ধ কেবলকার। এর সংলগ্নে রয়েছে কেবলকার মিউজিয়াম। এই মিউজিয়ামে ঢুকতেও প্রবেশ মূল্য লাগে না। কেবলকার মিউজিয়ামে কেবলকারের উৎপত্তি থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য ও ছবি সাজানো আছে। একটা কারের পূর্ণ আকারের নমুনাও রাখা আছে। এখানকার কেবলকার ভিন্ন। এই কেবলকার মাথার ওপর দিয়ে ঝুলতে ঝুলতে যায় না। এটা এক বগির একটা ট্রামগাড়ি। এর মোটা বৈদ্যুতিক তার থাকে নিচে, দুই চাকার মাঝখানে। এক পাশে খাঁজ কাটা চাকা চড়াই পথে ওঠার সুবিধার জন্য, যেমনটা আছে সুইজারল্যান্ডে আল্পস পর্বতে ওঠার ট্রেনে। আরেক পাশে সাধারণ চাকা। ল্যাম্বটন কিউরে থেকে শুরু হয়ে কেলবার্ন পর্যন্ত গিয়েছে এই কেবল লাইন। মাঝখানে শুধু একটা স্টেশন আছে ইউনিভার্সিটি। পাহাড়ের মধ্যে তিনটি সুড়ঙ্গ খুঁড়তে হয়েছে এই পথ তৈরি করার জন্য। এই কেবলকারে শুরু থেকে শেষ মাথায় পৌঁছতে মোট সময় লাগে ৪ মিনিট। কেবলকার মিউজিয়াম দেখতে অর্থকড়ি না লাগলেও কেবলকারে চড়তে জনপ্রতি ৫ ডলার করে নেওয়া হয়। নিউজিল্যান্ডের ওয়ালিংটনের সংসদ ভবনও বেশ আকর্ষণীয়। ওয়েলিংটন ইউনিভার্সিটির কাছেই এই সংসদ ভবন। এর চারদিকে উঁচু পাঁচিল ঘেরা। এখানে নেই কোনও দ্বাররক্ষী। সবুজ মখমলের মতো নরম ঘাসে ঢাকা এখানের উদ্যান। উদ্যান পেরিয়ে পাশাপাশি বিশাল দুটি ইমারত। তার মধ্যে একটির নকশা খুব অদ্ভুত। বিচিত্র ধরনের নকশা রয়েছে এই অট্টালিকায়। বহুতল গোলাকৃতি বাড়ি এটি। এর নিচের দিকের প্রশস্ত বেড় ওপর দিকে উঠতে উঠতে ক্রমেই সরু হয়ে গেছে। এই ভবন দুটি দেখতেও কোন মূল্য লাগে না।

পাহাড়ের পেটের ভেতর দিয়ে চলে ট্রেন

ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যবাহী স্থান ইয়ুংফ্রাউ রেলওয়ে। ইয়ুংফ্রাউয়ের চূড়ায় মানুষের প্রথম পদার্পণ ঘটে ১৮১১ সালে। ভারতে পর্বতাভিযানের প্রচলন থাকলেও ক্রীড়া হিসেবে পর্বাতারোহণের ঐতিহ্য কখনওই ছিল না। মাউন্টেনিয়ারিং বলতে যে ক্রীড়াকে বোঝায় তার উৎস এ ইয়ুংফ্রাউয়ের আল্পসেই। সুইজারল্যান্ডের এ আল্পস থেকেই পর্বতাভিযান শুরু হয়েছিল। ১০০ বছর আগে আল্পস পর্বতের পেটের মধ্য দিয়ে রেললাইন নিয়ে যাওয়ার আশ্চর্য স্বপ্নটা দেখেছিলেন জেলার নামে এক কর্মোদ্যোগী। সেই সময়েও পরিবেশের ক্ষতির কথা তুলে আপত্তি জানিয়েছিলেন কেউ কেউ। সম্প্রতি সেই ইয়ুংফ্রাউ রেলওয়ের শতবর্ষ উদযাপিত হয়ে গেল সুইজারল্যান্ডে। সেই কবে ১৮৯৩ সালে অ্যাডাম্ফ গায়ার জেলার এ আল্পস পর্বত শ্রেণীর মধ্য দিয়ে রেললাইন নিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন, যা পর্যটনকে পৌঁছে দিয়েছিল আক্ষরিক অর্থেই ইউরোপের শীর্ষে। তার স্বপ্ন সফল হল ১৯১২ সালে। ইয়ুংফ্রাউয়ের বরফাবৃত অংশের মধ্য দিয়ে ক্রম উচ্চমান সুড়ঙ্গ কেটে এ যাত্রাপথের সর্বশেষ স্টেশনটি খোলার পর পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্টেশনের স্বীকৃতি এখন এ রেলপথের দখলে। পাহাড়ের মধ্য দিয়ে এ রেলপথে যে ট্রেন চলাচল করে তার রয়েছে অতি প্রশ্বস্ত জানালা আর জানালার দাগহীন পরিচ্ছন্ন কাচ। দৃষ্টি আচ্ছন্ন হয় না, ছবিও ওঠে নিখুঁত। ট্রেনে চলতে গিয়ে এখানে কখনওবা পাহাড়ে খনন করা গর্তের মধ্য দিয়ে বাইরের দৃশ্যও চোখে পড়ে। এখানের রেলপথের সর্বোচ্চ গন্তব্যে রয়েছে একটি হোটেল, দু’টি রেস্তোরাঁ, একটি তারামণ্ডল, একটি গবেষণাকেন্দ্র ও প্রেক্ষাগৃহ, একটি স্কি স্কুল এবং আইসপ্যালেস। বরফ ভাস্কর্যের সংগ্রহশালাও রয়েছে এখানে। সর্বোচ্চ সেই জায়গায় একটি ট্যানেলের মধ্য দিয়ে এসে ওঠা যায় খোলা আকাশের নিচে একটি সমতল বরফাবৃত অঞ্চলে। এখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আল্পস পর্বতের গোটা এলাকাই ট্রেকারদের স্বর্গরাজ্য। অভিযান পিয়াসীদের প্রতিদিন পাহাড়ের চূড়ায় দেখা যায়। ইয়ুংফ্রাউতে যারা একবার যান তারা কিছুতেই ভুলতে পারেন না এর কথা। পর্বতের মধ্য দিয়ে ট্রেনে চেপে যাওয়ার রোমাঞ্চকর অনুভূতি- সে তো জীবনের বিরল ঘটনা। অথচ জেলার যখন পর্বতাভ্যন্তরে সুড়ঙ্গ বানানোর পরিকল্পনা করেন তখন পরিবেশসংক্রান্ত নানা বিষয়ে উঠে এসেছিল, কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে তা খারিজ হয়ে যায়। আল্পসের এ ইয়ুংফ্রাউ উপার্জনের দিগন্ত খুলে দিয়েছে, এ জন্য সুইজারল্যান্ডবাসীর গর্বের সীমা নেই। পৃথিবীর নানা জায়গা থেকে পর্যটক দল প্রতি বছর এখানে হাজির হচ্ছেন। শীতকালে পৃথিবীর ধনী মানুষদের স্কিইংয়ের গন্তব্য হয়ে উঠেছে এ ইয়ুংফ্রাউ। এখানে পর্বতের মধ্যে সুড়ঙ্গ ধরে ট্রেন চলে যায় চূড়ার দিকে। এ আল্পস পর্বতের তিন চূড়ার মধ্যে একটি ইয়ুংফ্রাউ। অন্য দুটি ইগার এবং মঞ্চ। এর সব ক’টিই ইন্টারলোকেন থেকে দৃশ্যমান।

বুমেরাং রহস্য

আদিম মানুষের সেরা উদ্ভাবন এই অভিনব অস্ত্রটির নিখুঁত যন্ত্রকৌশল বিজ্ঞানীদের দীর্ঘকাল বিহ্বল করে রেখেছিল। বুমেরাং যে অদ্ভুত আঁকাবাঁকা পথে এগোয় তা দেখে সত্যিই যে কোনও লোকের ধাঁধা লাগতে পারে। এখন আমরা বুমেরাংকে ব্যাখ্যা করার মতো বিস্তারিত তত্ত্ব পেয়েছি, এর মধ্যে আর বিস্ময়কর কিছু নেই। যদিও এটি বেশ জটিল। বুমেরাংয়ের গতি তিনটি কারণের সম্মিলিত ফল- প্রাথমিক নিক্ষেপ, বুমেরাংয়ের নিজস্ব ঘূর্ণন এবং বায়ু প্রতিরোধ। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা বহু শতাব্দীর চর্চার মাধ্যমে এই তিনটি কারণকে একত্রিত করতে শিখেছে। প্রত্যাশিত ফল পাওয়ার জন্য তারা নিপুণ হাতে বুমেরাংয়ের ঢাল ও দিকের পরিবর্তন করে এবং প্রয়োজন মতো ছোড়ার সময়কার বলকে বাড়ায় বা কমায়।

অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীর মতো অতটা ভালো না হলেও আপনিও বুমেরাং নিক্ষেপে কিছুটা দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। ছবির মতো আকারে এটাকে একটা কার্ডবোর্ড থেকে কেটে নিন। প্রত্যেক বাহু প্রায় ৫ সে.মি. লম্বা হবে আর চওড়ায় এক সেন্টিমিটারের কিছু কম। এটাকে বুড়ো আঙ্গুলের নখের নিচে চেপে ধরুন এবং সামনের দিকে ও একটু ওপরে লক্ষ্য করে টোকা মারুন। এটা প্রায় পাঁচ মিটার এগিয়ে যাবে, পাক খাবে এবং আপনার পায়ের কাছে ফিরে আসবে। অবশ্য পথের মধ্যে কোনওকিছুর সঙ্গে ধাক্কা খেলে হবে না। চিত্রের অনুকরণে আপনি এর থেকেও ভালো একটা বুমেরাং তৈরি করতে পারেন এবং এক্ষেত্রে এটাকে একটু মুচড়ে নিতে হবে যাতে প্রপেলারের মতো দেখতে হয়।

কিছু অভিজ্ঞতার পর আপনি এটাকে জটিল আঁকাবাঁকা পথে পাঠিয়ে, পাক খাইয়ে আবার নিজের পায়ের কাছে ফেরত নিয়ে আসতে পারবেন।
প্রচলিত ধারণা অনুসারে বুমেরাংটা একচেটিয়াভাবে আদিবাসী অস্ট্রেলীয়রাই যে শুধু অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করত তা কিন্তু মোটেই ঠিক নয়। ভারতেও এটা ব্যবহার হতো এবং এখনও টিকে থাকা কিছু দেয়াল চিত্র সাক্ষ্য দেয়, অ্যাসিরীয় যোদ্ধারাও তা হামেশা ব্যবহার করত। অস্ট্রেলীয়দের বুমেরাংয়ের একমাত্র বৈশিষ্ট্য হল ওই প্রপেলারের মতো প্যাঁচটা, যার কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এর জন্যই এটা ওই রকম চোখ ধাঁধানো নানা রকম পাক মেরে ‘এঁকেবেঁকে’ চলে আর যদি বা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়, তো নিক্ষেপকারীর কাছেই ফিরে আসে।

You may also like this
en_USEnglish