Categories: special news

Mass awakening One of the protesters had to die

The Dhaka Times Desk গণজাগরণকারীদের একজন হিসেবে প্রাণ দিতে হলো ব্লগার আহমেদ রাজিব হায়দারকে। গত রাত ৯টার দিকে মিরপুরে তার মামার বাসার সামনে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

শুক্রবার রাতে পলাশনগর প্রধান সড়কের পাশে রাজিবের বাসার কাছেই তার লাশ পড়ে ছিল। পাশে পড়ে ছিল তার ল্যাপটপ। পল্লবী থানা পুলিশ রাত ৯টার দিকে খবর পেয়ে লালমাটিয়া পলাশনগর প্রধান সড়কের কাছ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। তার মুখে জখমের চিহ্ন রয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় ও মুখে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহের গলায় গামছা পেচানো ছিল। রাজিবের বাসা ৫৬/৩ পলাশনগরে। বাসার কাছাকাছিই তাকে হত্যা করা হয়।

রাজিবের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শাহবাগের গণজাগরণের মঞ্চ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। তাকে গণআন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে উল্লেখ করে হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। এ ঘটনার পর রাতেই ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি পুননির্ধারণ করা হয়। বিকেলের ঘোষিত বেলা ৩টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হলেও পরে রাত্রে এ ঘটনার পর আবার জানানো হয় ২৪ ঘণ্টায় আন্দোলন চলবে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নিহত রাজিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রজন্ম চত্ত্বরের গণজাগরণ হতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের ইমরান এইচ সরকার বলেন, “মিরপুরে আমাদের একজন ব্লগার খুন হয়েছেন। আমাদের ওপর আঘাত এসেছে। এ অবস্থায় আমরা রাজপথ ছাড়তে পারি না। আমরা রাজপথ ছাড়বো না।” এরপর ব্লগার রাজিব হায়দারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শাহবাগের সমাবেশ থেকে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শ্লোগান উঠে, “রাজিব ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না।”

রাজিব একটি হাউজিং প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত শুভ ও তার ছোট ভাই নোবেল বাসায় ছিলেন। এরপর রাজিব বাইরে বের হন। রাজীবের স্বজনরা জানান, তিনি নিয়মিত ব্লগ লিখতেন। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনে প্রথম দিন থেকেই সক্রিয় ছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, ফেইসবুকে আহমেদ রাজিব হায়দারের আইডি ‘থাবা বাবা’, শুক্রবার দুপুর তিনটার দিকে শেষ ‘স্ট্যাটাস’ এ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠানগুলো বর্জনের আহ্বান জানান তিনি। “কোথায় কিভাবে বর্জন করতে হবে তার রুপরেখা নির্ধারন করাটা খুব জরুরী।…. কারন জামাতি প্রতিষ্ঠান বলে যাদের বয়কট করবো, তার মালিকানা রাতারাতি বদলে যেতে পারে… সিম্পল শেয়ার আদান প্রদানেই মালিকানা বদলে যাবে! তিনি লেখেন, “তবে আমার জায়গা থেকে একটা জিনিস আমি বলতে পারি, পরিচিত জামাত সংশ্লিষ্ট পন্য ও প্রতিষ্ঠান যার যার জায়গা থেকে বর্জন করুন, যেমন তাদের মূল কাগজ সংগ্রাম বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-কোচিং ও তাদের সাংস্কৃতিক সংগঠন।”

Staff reporter

Recent Posts

এই ছবির মধ্যে কোথায় ভুল রয়েছে একবার বলুন তো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বুদ্ধি খেলা খেললে ব্রেন আর স্রাফ হয়। তাই এই ধরনের…

% days ago

Historic Kusumba Mosque in Naogaon

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…

% days ago

The disease can be recognized by looking at the tongue! Consult a doctor if you see any symptoms?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ শরীরে পানির ঘাটতি হলেও জিভ সাদা হয়ে যায়। নিয়মিত…

% days ago

As the baby grows, the routine should also be changed along with milk consumption

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার শিশু বেড়ে ওঠার সময় কেবলমাত্র দুধভাত ও শাকসব্জি খাওয়ানোই…

% days ago

How to find favorite old reels on Facebook

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুকে কখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় পেরিয়ে যায় বোঝা যায়…

% days ago

Jim's new play 'Meghbalika' is coming soon

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী মাফতুহা জান্নাত জিম। মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে…

% days ago