The Dhaka Times Desk Many of us are ignorant about health. It is very important for us to pay attention to how our body and health are good. And that is why we organized a short health story with various short news of human health. Hope everyone will benefit from reading these small health trips.
মধুর অনেক গুণ
মধুতে রয়েছে শরীরে তাপ উৎপাদনের তীব্র ক্ষমতা। তাই ঠাণ্ডায় মধু নিয়মিত খেলে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা দূর হবে। মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, যা রক্তশূন্যতা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করে। চা, কফি ও গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে হাঁচি, কাঁশি, জ্বর জ্বর ভাব, টনসিল, নাক দিয়ে পানি পড়া, জিহ্বার ঘা ভালো হয়। তারুণ্য বজায় রাখতে মধুর ভূমিকা অপরিহার্য। মধুর গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করে। শিশুদের ছয় মাস বয়সের পর থেকে অল্প করে (তিন-চার ফোঁটা) মধু নিয়মিত খাওয়ানো উচিত। এতে তাদের পুরো দেহের বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ ভালো হবে। তবে মধু নিয়মিত খাওয়াতে হবে এ ঠাণ্ডা ঋতুতে, গরমের সময় নয়। মধু সবার শরীরে গরম তৈরি করে। যে কোন বয়সের মানুষ অধিক পুষ্টির আশায় বেশি মধু খেলে ডায়রিয়া হয়ে যাবে। তবে বড়দের তুলনায় বাড়ন্ত শিশুদের জন্য পরিমাণে মধু বেশি প্রয়োজন। মধুতে নেই কোনো চর্বি। তবে অতিরিক্ত মিষ্টির জন্য ডায়াবেটিস, হূৎপিণ্ড ও উচ্চরক্ত চাপের রোগীদের মধু বর্জনীয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছেযে মধুতে রয়েছে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। এ এজেন্ট শরীরের ক্ষতিকর রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, নিয়মিত মধু ও সুষম খাবারে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা তুলনামূলকভাবে বেশি কর্মক্ষম ও নিরোগ হয়ে বেঁচে থাকে। রক্ত উৎপাদনকারী উপকরণ আয়রন রয়েছে মধুতে। ডা. ফারহানা মোবিন।
মৃগীরোগ ও মাইগ্রেন সম্পর্কযুক্ত
মৃগী বা এপিলেপসির সঙ্গে মাথাব্যথার রোগ মাইগ্রেনের কোনো সম্পর্ক নেই, এটিই জেনে আসছি আমরা। তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার এ দুটি রোগের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন, পরিবারের কারও মৃগীরোগ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। গবেষকরা প্রায় ৫০০ রোগীর পারিবারিক ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানিয়েছেন, কারও মৃগীরোগ থাকলে তার পরবর্তী প্রজন্মের ঘনিষ্ঠ লোকদের মধ্যে মাইগ্রেন দেখা গেছে। গবেষক দলের প্রধান মেলোডি উইনাভার জানান, মাইগ্রেনের কারণে প্রচণ্ড মাথাব্যথার পাশাপাশি সাময়িক দৃষ্টিলোপ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, মৃগীরোগের ক্ষেত্রেও এ লক্ষণগুলো তীব্র।
সর্দি জ্বরে ভেষজ
যে জ্বরে মাথাব্যথা করে, হাঁচি, কাশি, নাক ও চোখ দিয়ে পানি পড়ে তাকে সর্দি
জ্বর বলে।
প্রতিরোধে করণীয়
# রোগীর ব্যবহূত তোয়ালে, গামছা, রুমাল ব্যবহার করা যাবে না।
# যেখানে সেখানে কফ, থুথু বা নাকের শ্লেষ্মা ফেলা যাবে না।
# রোগী হাঁচি দেয়ার সময় অবশ্যই মুখে রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
# শিশুকে ঠাণ্ডা খাবার খাওয়ানো যাবে না।
ভেষজের ব্যবহার
# পিপুল চূর্ণ আধা চা চামচ, আদার রস চার ভাগের এক ভাগ চা চামচ, মধু আধা চা চামচসহ দিনে ৩ বার সেবন করা যায়।
# গরম দুধের সঙ্গে ১০ ফোঁটা তুলসী পাতার রস এবং ১০ ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে সকাল-বিকাল খাওয়া যায়।
# বাসক পাতার রস ১৫ ফোঁটা সমপরিমাণ মধুর সঙ্গে খাওয়া যায়।
সাইনুসাইটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
আমাদের নাকের চারপাশের অস্থিগুলোর পাশে বাতাসপূর্ণ কুঠরি থাকে, এদের সাইনাস বলে। সাইনাসের কাজ হল মাথাকে হালকা রাখা, মস্তিষ্ককে আঘাত থেকে রক্ষা করা, কণ্ঠস্বরকে সুরেলা রাখা, দাঁত ও চোয়াল গঠনে সহায়তা করা। যদি কোনও কারণে এ সাইনাসগুলোতে প্রদাহ তৈরি হয় তখন তাকে সাইনুসাইটিস বলে।
চিকিৎসা : রসুন এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন ২-৪ কোয়া রসুন ২ চা চামচ মধুর সঙ্গে দিনে ২ বার সেবন করলে সাইনুসাইটিস ভালো হয়।
পেঁয়াজ : প্রতিদিন ১ চা চামচ পেঁয়াজ রস ১ চা চামচ মধুর সঙ্গে সেবন করলে সাইনুসাইটিস ভালো হয়ে যাবে।
গোলমরিচ : ৫ গ্রাম গোলমরিচ চূর্ণ ১ গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে সেবন করলে সাইনুসাইটিস দূর হয়ে যায়।
আদা : নিয়মিত আদার রস ১ চা চামচ সঙ্গে ১ চামচ মধুসহ সেবন করলে সাইনুসাইটিসজনিত মাথাব্যথা দূর হয়।
যষ্টিমধু : যষ্টিমধু এন্টিবায়োটিক ও এন্টিভাইরাল হিসেবে কাজ করে এবং শ্বসনতন্ত্রের প্রদাহ দূর করে।
পুদিনা তেল : পুদিনা তেল সাইনুসাইটিসজনিত মাথাব্যথা, নাক ও মুখমণ্ডলের ব্যাথা দূর করতে কার্যকর।
ইউক্যালিপটাস তেল : ইউক্যালিপটাস তেল এন্টিবায়োটিক হিসেবে খুব ভালো। এ তেল ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনজনিত সাইনুসাইটিস দূর করে।
তিল তেল : তিল তেল দিয়ে নিয়মিত ম্যাসেজ করলে সাইনুসাইটিস ভালো হয়।
Dr. Alamgir Moti
Herbal researcher and physician
ত্বকের রোগ সোরিয়াসিসে বিধি নিষেধ
সোরিয়াসিসের সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেননি। যাদের সোরিয়াসিস হওয়ার আশংকা থাকে তাদের যে কোনও ধরনের আঘাত এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ আঘাত থেকেই সোরিয়াসিস শুরু হতে পারে। একটা জায়গা চুলকাতে চুলকাতে সোরিয়াসিস শুরু হয়ে যেতে পারে। ঘর্ষণ বেশি লাগে এমন জায়গাতে যেমন কনুই (পড়ার টেবিলে), হাঁটু, কপাল, পায়ের গিরায় (শক্ত জায়গায় নামজা পড়া) সোরিয়াসিস দেখা দিতে পারে। অরিক্তি মানসিক দুশ্চিন্তা সোরিয়াসিসের তীব্রতা বাড়িয়ে দিতে পারে। যেহেতু এ রোগ কোনও ধরনের জীবাণু দ্বারা হয় না তাই এটি ছোঁয়াচে রোগ নয়।
খাবারে বিধিনিষেধ
এটিকে অনেকে অ্যালার্জি মনে করে বেগুন, চিংড়ি, ডিম, মিষ্টি কুমড়া, পুঁটি, বোয়াল ইত্যাদি খাওয়া বন্ধ করে দেন। এ ধারণাটি ঠিক নয়। তবে রেডমিট অর্থাৎ লাল মাংস যেমন গরু, মহিষ, হাঁস খাওয়াতে সোরিয়াসিসের তীব্রতা বেড়ে যায়। খাসি, মুরগি খেতে পারবেন।
সোরিয়াসিস যাদের থাকে তাদের আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্ট পেইন বা বাত জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে পেইন কিলার খেলে ত্বকের সোরিয়াসিস বেড়ে যাবে। ব্যথা সাময়িক কমে থাকবে, কিন্তু ভালো হবে না। ওষুধ বন্ধ তো আবার ব্যথা- তা হলে ব্যথার ওষুধ চলবে তো গ্যাস্ট্রিক আলসার হবে এবং একটা পর্যায়ে কিডনি তার কার্যকারিতা হারাবে। তাই যখন চর্ম রোগ সোরিয়াসিসের সঙ্গে বাতের ব্যথা থাকবে তখন এমটিএক্স নামক ওষুধ প্রযোজ্য।
ডা. রাশেদ মোঃ খান
ত্বক ও যৌনব্যাধি বিশেষজ্ঞ
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল