The Dhaka Times Desk গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নজরদারির খবর নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার ফোনের ব্যাটারির মাধ্যমে নজরদারি করতে পারেন সাইবার দৃবৃত্তরাও। তাই বুঝতেই পারছেন ফোনের ব্যাটারি সর্বনাশ ঘটাতে পারে।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ওপর গোয়েন্দা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নজরদারির খবর নতুন কিছু নয়। বেশিরভাগ স্মার্টফোনে জিপিএস চিপ থাকে, যার মাধ্যমে সহজেই স্মার্টফোন নজরদারির আওতায় থাকে। যারা নজরদারি এড়াতে চান, তারা সহজ বুদ্ধিতে জিপিএস ফিচারটি বন্ধ করে রাখেন। কিন্তু মোবাইল ফোনে নজরদারি করার অন্য আরেকটি উপায়ও রয়েছে। পদ্ধতিটি হলো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারির ওপর নজরদারি করা। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট গিজমোডো এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসরায়েলের সরকারি সংস্থার গবেষকরা মোবাইল ফোনের ব্যাটারির মাধ্যমে নজরদারি করার পদ্ধতিটির বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে স্মার্টফোন ব্যাটারির চার্জে খুব সামান্য হেরফের হওয়ার বিষয়টি হিসাব করে মোবাইল ব্যবহারকারী কোথায় কোথায় যান, সে বিষয়টি সহজেই ধরা যায়। মোবাইল ফোনের টাওয়ার হতে মোবাইল ফোনে পিং পেতে কী ধরনের বাধা আসে, তা নির্ণয় করে খুব সহজেই ব্যবহারকারীর অবস্থান বের করা যায়। টাওয়ারের অবস্থান দূরে হলে অথবা কোনো ভবন বা পাহাড়ের কারণে পিং পেতে সমস্যা হলে মোবাইল ফোনে তখন বাড়তি কিছুটা শক্তি খরচ করে থাকে।
ব্যবহারকারী মোবাইল ফোন নিয়ে কোথায় কোথায় যান সে বিষয়টি যদি কিছুদিন ধরে নজরে রাখা হয় ও এই রুটিন যদি স্বাভাবিক হয়, তাহলে ৯০ শতাংশ নির্ভুলভাবে ব্যবহারকারীর অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু ফোন ব্যবহারকারী যদি রুটিনমাফিক না চলাচল করেন, তাহলে তার অবস্থান শনাক্ত করার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশে নেমে আসবে।
সংবাদ মাধ্যম বলছে, বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, স্মার্টফোনে এভাবে নজরদারির বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কারণ এই ধরনের নজরদারি হলে ব্যাটারি খুলে রাখা ছাড়া তা এড়িয়ে যাওয়ার আর কোনো জুতসই পথ নেই। এই ধরনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের সাধারণ কোনো অ্যাপই যথেষ্ট। এই ধরনের অ্যাপকে ব্যাটারি ব্যবহারবিষয়ক তথ্য সংগ্রহে গুগলেরও কোনো বাধা নেই। দুর্বৃত্তরা চাইলেই এরকম কোনো অ্যাপ তৈরি করে সহজেই ব্যবহারকারীর ওপর নজরদারি স্থাপন করতে পারেন। তাই ব্যাটারী থেকে সাবধান থাকতে হবে। নইলে আপনি বুঝে ওঠার আগে যা ঘটার ঘটে যাবে। তখন আর আপনার করার কিছুই থাকবে না।