The Dhaka Times Desk অবশেষে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলো বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি। আর এই চুক্তির ফলে স্বীকৃত হতে যাচ্ছে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের নাগরিকত্ব।
অবশেষে চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেলো বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি বিল। মঙ্গলবার ভারতের মন্ত্রীসভায়, বুধবার রাজ্যসভায় পাসের পর গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ লোকসভায় পাস হয় বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত বিল। এই বিলটি অনুমোদনের মধ্যদিয়ে নিশ্চিত হলো দুই দেশের ছিটমহলে বসবাসরত প্রায় ৫০ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব। এই চুক্তির আওতায় দু’দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় ও ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার অমীমাংসিত সীমানা চিহ্নিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্বাক্ষর শেষে বিলটি দুপুরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য লোকসভায় উত্থাপন করা হয়। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বিলটি লোকসভায় অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করেন। লোকসভায় সাধারণ আলোচনার পর বিলটি অনুমোদিত হয়।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের বরাতে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী ছিটমহলের বাসিন্দারা বর্তমান অবস্থানে থাকবেন নাকি অন্য দেশে স্থানান্তর হবেন সেটা তাদেরই সিদ্ধান্তের বিষয়। ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের ছিটমহলে বসবাসরত বাংলাদেশিরা যদি মনে করেন তারা ওইখানেই থাকবেন তবে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়া হবে। আর যদি বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতের ছিটমহলের বাসিন্দারা সেখানেই থাকতে চান তবে তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লগ্নে রেডক্লিফের মানচিত্র বিভাজন হতেই উদ্ভব হয় ছিটমহলের। যেটি দীর্ঘদিন যাবত অমীমাংসিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২৪,২৬৮ একর ভূমি নিয়ে ১৬২টি ছিটমহল রয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে ভারতের ১১১টি ছিটমহল। অপরদিকে ভারতে রয়েছে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল।
জানা যায়, ২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী দেখা যায় ভারতের ছিটমহলে বসবাসরত লোকসংখ্যা হলো ৩৭ হাজার। আর বাংলাদেশের ছিটমহলের লোকসংখ্যা ১৪ হাজার। এসব ছিটমহলগুলোর মধ্যে লালমনিরহাটে ৫৯, পঞ্চগড়ে ৩৬, কুড়িগ্রামে ১২ এবং নীলফামারীতে রয়েছে ৪টি ভারতীয় ছিটমহল। অন্যদিকে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের অবস্থান হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। এগুলোর মধ্যে ৪৭টি কুচবিহার এবং ৪টি জলপাইগুড়ি জেলায়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি। ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি নামে পরিচিত ১৯৭৪ সালের ওই স্থল সীমান্ত চুক্তিটি দীর্ঘদিন যাবত বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এলে প্রটোকলে স্বাক্ষর করেন সে সময়কার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এবার দীর্ঘদিন পর চুক্তিটি বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। প্রায় ৫০ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব যেমন মিলবে, পাশাপাশি দুটি দেশের সম্পর্ক আরও উন্নয়ন ঘটবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
This post was last modified on মে ৭, ২০১৫ 8:06 pm
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে শুধু পানিই খেতে হবে? তা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি চীনের হেফেইতে অনুষ্ঠিত জ্যাক গ্লোবাল পার্টনারস কনফারেন্স ২০২৫-এ বাংলাদেশের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লাল গ্রহ মঙ্গল নিয়ে মানুষের মাতামাতির যেনো শেষ নেই। মঙ্গল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ভারতের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের বন্দর আব্বাসের শহিদ রাজি বন্দরে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল)…