The Dhaka Times Desk মানুষকে শনাক্ত করতে কতকিছুই না করা হয়। কিন্তু সেই কাজটি এবার করবে চুল। চুলই শনাক্ত করবে মানুষের চেহারা। কোন অপরাধী যদি অপরাধ করার পর কেটে পড়েন তবে তার চেহারা কেমন কিভাবে বুঝবেন? কিন্তু আর সে ধরনের কোন দুশ্চিন্তর কারণ নেই।
সন্দেহভাজন অপরাধীর চেহারা কেমন? মাথায় টাক? চিবুকে কাটা দাগ? মুখমণ্ডলে তিল? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে ঘটনাস্থলে অপরাধীর ফেলে যাওয়া একটি চুল থেকে সংগৃহীত ডিএনএ থেকেই। গবেষকদের আশা, ডিএনএ ফেনোটাইপিং নামের এ প্রযুক্তি শিগগিরই পুলিশের হাতে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেনিস ম্যাকনেভিন বলেন, ডিএনএ ব্যবহার করে সন্দেহভাজন অপরাধীর নির্ভুল ছবি বের করার প্রযুক্তি তৈরির কাজ চলছে। অপরাধের ঘটনায় কাউকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত না করার ঘটনা বিরল নয়। আবার কখনো বিপুলসংখ্যক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন অপরাধী হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রায়ই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে হয়। তখন শতাধিক ব্যক্তির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে অপরাধী শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর এ জন্যই ডিএনএ ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধী শনাক্তকরণে কার্যকর প্রযুক্তি দরকার।
ম্যাকনেভিনের নেতৃত্বে ‘ফ্রম জেনোটাইপ টু ফেনোটাইপ: মলিকিউলার ফটোফিটিং’ শীর্ষক চার বছরব্যাপী গবেষণাটি আগামী বছরের শেষ নাগাদ শেষ হবে। এ গবেষণায় সহযোগিতা করছে অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় পুলিশ, কুইন্সল্যান্ড চিকিৎসা গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ভিক্টোরিয়া রাজ্যের পুলিশ। সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তা রুনা ডেনিয়েল বলেন, অপরাধের প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী অপরাধীর অগোচরে এ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে। ডিএনএ ফেনোটাইপিংয়ের মাধ্যমে পুলিশি তদন্তে সংকটময় পরিস্থিতি (যখন প্রচলিত ডিএনএ প্রোফাইলিং কৌশল কাজে লাগে না) সামাল দেওয়া যেতে পারে।
ম্যাকনেভিন বলেন, প্রচলিত ডিএনএ পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির চুল ও চোখের রং নির্ণয় করা যায়। তবে ওই ব্যক্তির ব্যাপারে আরও নিখুঁত ও সূক্ষ্ম বিবরণ উদ্ধারই বর্তমান গবেষণার লক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে অপরাধীর কানের লতি ও পূর্বপুরুষের জৈব ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য (যেমন: তিনি ইউরোপীয়, আফ্রিকান নাকি এশীয় বংশোদ্ভূত?) প্রভৃতি নির্ণয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পুরুষের টাকের বিভিন্ন ধরন শনাক্তকরণে ইতিমধ্যে সাফল্যের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
সূত্র: ক্যানবেরা টাইমস। ( সৌজন্যে : ঢাকা জার্নাল)।