The Dhaka Times Desk হয়তো এমন কথা শুনলে কেও বিশ্বাস করতে পারবেন না। কারণ একটি সাইকেলের দাম কি এতো হতে পারে? কিন্তু ঘটনাটি আসলেও তাই। এক সাইকেলের দাম ৪ কোটি টাকা!
সাধারণ প্রাইভেট কারের দামেন কথা বললে হযতো ৫/১০ লাখ বা ২০ লাখও হতে পারে। আবার যদি বুলেট প্রুফ কার হয় তাহলে তার দাম কতো হতে পারে? এক কোটি বা ২ কোটি? কিন্তু যদি সাধারণ একটি সাইকেলের কথা বলা যায় তাহলে কতো হতে পারে? ৫/১০ হাজার নাকি ৫০ হাজার। কিন্তু যদি বলা যায় ৪ কোটি তাহলে বিষয়টি আপনার কাছে ভুয়া মনে হওয়াটায় স্বাভাবিক। কারণ সাইকেলের দাম ৪ কোটি টাকা হতে পারে এমন কথা আপনি জীবনেও শোনেননি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, বর্তমান প্রযুক্তির এই যুগে কত কিছুই না আবিষ্কার হচ্ছে। তবে এমন একটি ছোট্ট আবিষ্কার যার কথা শুনে আপনার চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা হবে। কারণ ওই সাইকেলটির প্যাডেল ঘুরালেই আপনাকে গুনতে হবে ৪ কোটি টাকা! তবে এই সাইকেলে কোনো ইঞ্জিন অথবা প্যাডেল না ঘুরিয়েই চলতে পারে এমন কিছু কিন্তু নয়। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনাটি ঠিক এমনই। তবে কোনো সাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া দাম এটি নয়। তবে সাইকেলটি বিক্রেতার কাছে ৪ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ট্রেক যাত্রা শুরু করে ১৯৭৫ সালে উত্তর আমেরিকার ওয়াটার লও, ওয়িসকনসিন শহরে। প্রথম দিকে ৯০০টি সাইকেল বানানো হয় যার সর্বোচ্চ দাম ছিলো ১৫ হাজার টাকা। পরের বছরের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধিত হয়। পেন সাইকেল সর্বপ্রথম ট্রেকের ডিলার হতে পারে। ১৯৭৭ সালে গিয়ে ট্রেকের বছরে বিক্রি হয় ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সাইকেল।
এখন পৃথিবীর সবচেয়ে দামী সাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হলো ট্রেক। ১০ হতে ১২ বর্গফুটের বিক্রয় কেন্দ্র এখন বিশাল কারখানায় পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থানের স্থান হলো এই ট্রেক।
সাইকেল ডিজাইনার ডেমিয়েন হ্রাস্ট ২০০৯ সালে ‘ট্রেকে’র ‘বাটারফ্লাই ট্রেক মেডোন’ সাইকেলটি তৈরি করেন। যা বিশ্বে বর্তমানে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি সাইকেল এটি। লেন্স আর্মস্ট্রং নামের একজন বিখ্যাত সাইক্লিস্ট এই সাইকেল দিয়ে ‘ট্যুর দ্য ফ্রাঞ্চ’ সম্পন্ন করেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এই সাইকেলটি বর্তমানে টেক্সাসের একটি শহরে রয়েছে। তবে আপনি চাইলেও এই সাইকেলটি দেখে আসতে পারবেন না। এজন্য আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। ২০০৯ সালের ১ নভেম্বর সাইকেলটিকে নিলামে তোলা হয়। একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল, আর্মস্ট্রংয়ের ক্যান্সার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রচারণা ও প্রসারের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা। ওই নিলামেই সাইকেলটি বিক্রি করা হয় ৫ লক্ষ ডলারে।
জানা যায়, সত্যিকার প্রজাপতির পাখা ব্যবহার করা হয় এই সাইকেলটি নির্মাণে। সাইকেলটি এক কথায় বলতে গেলে অতুলনীয়। ডিজাইন, পাওয়ার, রাইডিং কোয়ালিটি ও নির্মাণ উপাদানে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের প্রযুক্তি। আর তাই সাইকেলটির এতো খ্যাতি!
This post was last modified on জুন ৮, ২০২০ 10:44 pm
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই জঙ্গলের মধ্যে নদী রয়েছে। রয়েছে সার দেওয়া গাছ। চারপাশে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে পড়াশোনার জন্য দিনের বেশির ভাগ সময় কম্পিউটারে চোখ রাখতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের গৃহঋণ প্রদানকারী স্পেশালিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি সম্প্রতি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রবিবার (১২ মে) সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৮ বছর পূর্বে ‘কে তুমি’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছিলেন জনপ্রিয়…