The Dhaka Times Desk ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ও সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে উভয় পক্ষের কয়েকশ’, যদিও নিহতের সংখ্যা নিয়ে বেশ সন্দেহ রয়েছে। কারণ সংবাদ মাধ্যমগুলো একেক রকম তথ্য দিচ্ছে।
জারা যায়, যারা আহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ। নিহতদের মধ্যে দু’জন পুলিশ ও একজন বিজিবি সদস্য রয়েছেন। বাকিরা সাধারণ পথচারী বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে হেফাজতের কোনো নেতা বা কর্মী নেই। আহতদের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কয়েক হাজার রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও রাইফেলের গুলি ছোড়ে। সাউন্ড ও গ্যাস গ্রেনেডও ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতকর্মীদের সংঘর্ষে ৬ জন এবং বাগেরহাটে সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নারায়নগঞ্জের ঘটনায় আহতদের বেশির ভাগই আনা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
সংঘর্ষ চলাকালে হেফাজতের কর্মীরা ইট-পাটকেল, লোহার রড, বাঁশ ও লাঠি নিয়ে আইনথশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার পাশাপাশি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ দুপুর পর্যন্ত। দুপুরে পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয় বলে জানান নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। তিনি পুলিশের দুই সদস্য নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করলেও অন্যদের ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি।
নিহতদের মধ্যে বিজিবির এক সদস্য, পুলিশের দুই সদস্য এবং দু’জন পথচারীর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, তিনজন পথচারীর লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গ এবং বাকিদের লাশ সিদ্ধিরগঞ্জের সুগন্ধা, সাজেদা, মা ও কাঁচপুরের শুভেচ্ছা ক্লিনিক থেকে নিয়ে যান তাদের স্বজনরা।
গতকাল সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। হেফাজতকর্মীরা এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চারটি যানবাহনসহ কমপক্ষে ১৫টি যানবাহন, কাঁচপুর পুলিশ ফাঁড়ি এবং একটি পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করে। সিদ্ধিরগঞ্জে বিদ্যুৎ অফিসেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। রাস্তার ওপর গাছের গুঁড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ইট ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে তারা।
এদিকে দুপুর নাগাদ পরিস্থিতি শান্ত হলেও বিকেল পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কিছু স্থানে মাঝে মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে হেফাজতকর্মীরা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অল্প সংখ্যায় চলতে থাকা সাধারণ পরিবহন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে তারা। যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে র্যাব ও পুলিশের ১৫টি গাড়ি এ সড়কে টহল দেয়।
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা শরীরচর্চার সময় না পেলেও নিয়ম করে মিনিট পাঁচেক স্কোয়াটে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ডেলটা নামে আইফোনের একটি ইমুলেটর অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খানকে নিয়ে আরও দু'টি নতুন সিনেমা…
The Dhaka Times Desk Playing brain games clears the brain. So this kind of…
The Dhaka Times Desk good morning Friday, 17 May 2024 AD, 3 Jaishtha 1431…
The Dhaka Times Desk Even if the body lacks water, the tongue turns white. regular…