The Dhaka Times Desk বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ উপকূলের দিকে আরো এগিয়ে আসায় সতর্কতা বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দুই মাত্রার সতর্কতা (এলার্ট-২) জারি করেছে। বন্দর সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর তিনটি সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করায় চট্টগ্রাম বন্দরে দুই মাত্রার সতর্কতা জারি করা হয়।
চট্রগ্রাম বন্দর সচিব জানান, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকার সময় বন্দরে এক নম্বর সতর্কতা জারি ছিল। সকালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির বৈঠক শেষে সতর্কতা এক ধাপ বাড়ানো হয়।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার প্র্রস্তুতির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সিটি করপোরেশন, বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে, এ লক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক বৈঠক রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা (মাইকিং), জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ১১৩ টি জরুরি মেডিকেল টিম প্রস্তুত, রোববার সন্ধ্যা থেকে কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি জেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, সোমবার বেলা ১২টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এই মুহূর্তে চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারের আবহাওয়ায় গুমট অবস্থা বিরাজ করছে। এবং চট্রগ্রাম এর উপকূলীয় এলাকা সমূহে সাগর উত্তাল সাথে গুরি গুরি বৃষ্টি হচ্ছে।