The Dhaka Times Desk এমন গরু বিশেষ করে কোরবানির সময় আমাদের জন্য সত্যিই উপযোগি। এমন এক মাংসের গরুর এক বিস্ময়কর জাত হলো ‘বেলজিয়াম ব্লু’।
উন্নত বিশ্বে গরুর ওই বিশেষ জাতটির সঙ্গে পরিচিতি থাকলেও আমাদের দেশের মানুষের কাছে একেবারেই অজানা। প্রায় ৭০ বছর ধরে ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোতে মাংসের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছে গরুর ওই জাতটি।
এই বিশাল গরুর বৈশিষ্ট্য হলো এদের শরীরে থরে থরে মাংসপেশী। বেলজিয়ামের নিজস্ব জাত এটি। এই গরুর পিঠে কোনো কুঁজ নেই। পিঠ একেবারে সমান। শক্তিশালী পা রয়েছে বিশালদেহী এই গরুটির। ২০ হতে ৩০ মণ কিংবা ৮শ’ হতে ১২শ’ কেজি ওজনের গরুকে মনে হতে পারে নীতিমতো কুস্তিগীর। তবে কুস্তিগীর মনে হলেও একেবারে শান্ত স্বভাবের গরু হলো ‘বেলজিয়াম ব্লু’। ৭০ কেজি ওজন নিয়ে জন্ম হয় এই গরুগুলোর। তারপর হতে প্রতিদিন বাড়তে থাকে প্রায় এক কেজি করে ওজন।
বেলজিয়ামের আভোলেগমের খামারি গের্থ বলেছেন, ‘‘বেলজিয়াম ব্লু বা ব্ল্যাক নামেও পরিচিতি পেয়েছে এই মাংসের গরু। দু’বছরের মাথায় এই গরুর ওজন হয় কমপক্ষে ৬০০ কেজি। যথেষ্ট শক্তিশালী হয় এই গরু। তিন বছরের মাথায় এটির ওজন দাঁড়ায় ৭৫০ কেজি। এই গরুর ওজন বেড়ে পৌঁছায় ১০০০ কেজি (২৫ মণ) হতে ১২০০ কেজি (৩০ মণ) পর্যন্ত!
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ১৯৫০ সালের কথা। তখন বেলজিয়ামের আদি একটি জাতকে উন্নত করা হয় বেলজিয়াম ব্লু হিসেবে। এরপর ১৯৭৮ সাল হতে এটি ছড়িয়ে যায় ইউরোপ আমেরিকার সর্বত্র। প্রাকৃতিকভাবেই মাংসের জন্য বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই জাতটির।
এ বিষয়ে বেলজিয়ামের সিড লাইনস এর ডেইলি টেকনিক্যাল সাপোর্ট রবিন ফ্র্যানজন বলেছেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া বা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা গরু এগুলো। তবে এ ব্যাপারে আপনাদের পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করছি, এন্টিবায়োটিকের নামগন্ধও ব্যবহার করা হয়নি এই গরুগুলোতে। প্রকৃতপক্ষে এই গরুগুলোর বৈশিষ্ট্যই এমন। মিয়োস্ট্যাটিন জিনের মিউটেশনের কারণে এমনটি হয়। সিমেন নির্বাচন করাটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
আমাদের দেশে বিশেষ করে কোরবানীর গরু হিসেবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আর সেক্ষেত্রে আমাদের গবাদি পশু পালনে বেলজিয়াম ব্লু জাতটি যুক্ত করা অতি জরুরি।