Categories: international news

There are some castles in Europe that are truly mysterious!

The Dhaka Times Desk পৃথিবীময় এমন কিছু দুর্গ রয়েছে যেগুলো সত্যিই রহস্যময়। আজ আপনাদের জন্য রয়েছে এমন কয়েকটি দুর্গের গল্প!

ইউরোপে ইতিহাসের বিখ্যাত সব দুর্গ তৈরি হতে থাকে মধ্যযুগ হতে। সে সময় ইউরোপিয়ানরা তাদের নিজেদের প্রয়োজনেই এসব দুর্গ নির্মাণ করে। যুদ্ধ, বিগ্রহে নিজেদের সুরক্ষাসহ অদ্ভুত সব কাজে ব্যবহৃত হয় এইসব বিখ্যাত দুর্গগুলো।

কালের বিবর্তনে এসব দুর্গ এখনও সাক্ষী হয়ে আছে। এইসব দুর্গে রয়েছে সুরক্ষিত প্রাসাদ, চারপাশে পরিখা এবং শেকলে টানা পাটাতন, কামান বসানোর ফাঁকযুক্ত প্রাচীরও। শত শত যুগ যুগ ধরে ইতিহাস বয়ে বেড়াচ্ছে এসব দুর্গ। ইউরোপের তেমনই কয়েকটি বিখ্যাত দুর্গের গল্প রয়েছে আজ।

Related Posts

টাওয়ার অফ লন্ডন

টাওয়ার অফ লন্ডন। এই দুর্গটি সুদীর্ঘ ইতিহাসে কখনও ছিল রাজকীয় প্রাসাদ, আবার কখনও অস্ত্রাগার, কখনও কোষাগার, আবার কখনওবা পশুশালা! অর্থাৎ হাতি, বাঁদর কিংবা গণ্ডার থেকেছে এখানে! তবে হাজার বছরের পুরনো এই টাওয়ারে এখন শুধুই দাঁড়কাকদের বসবাস।

জার্মানির হোহেনজোলার্ন ক্যাসল

এটি সোয়েবিয়ান আল্পসের একটি ৮৫৫ মিটার উঁচু শৈলশিরার উপর নির্মিত হয়েছে প্রাসাদদুর্গ। এটি হোহেনজোলার্ন রাজপরিবারের আদি বাসস্থান। হোহেনজোলার্ন নৃপতিরা ১৫২৫ সাল হতে ১৯১৮ সাল অবধি প্রাশিয়া শাসন করেন। ১৮৭১ হতে ১৯১৮ সাল অবধি জার্মানিতে রাজত্ব করেছেন তারা। হোহেনজোলার্ন ক্যাসলটিকে ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর প্রাসাদদুর্গগুলির মধ্যে অন্যতম হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।

চেক প্রজাতন্ত্রের লোকেট ক্যাসল

মহাকবি গ্যোটে স্বয়ং এই ক্যাসলেতে গেছেন অন্ততপক্ষে দশবারের বেশি। ১৮২৩ সালের ২৮ আগস্ট গ্যোটে তাঁর ৭৪তম জন্মদিন পালন করেন এই লোকেট ক্যাসল-এ গিয়ে। সে যাত্রায় গ্যোটের সঙ্গে ছিলেন আর এক পরিবার, যাদের ১৯ বছর বয়সি কন্যা উলরিকে ফন লেফেটৎসভ’কে বিবাহের প্রস্তাব দেন গ্যোটে। তবে প্রত্যাখ্যাত হন।

জার্মানির ভার্টবুর্গ ক্যাসল

১০৮০ সালে ম্যার্জেবুর্গের বিশপ ব্রুনোর লিখিত একটি নথিতে ভার্টবুর্গ দুর্গের প্রথম উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। ১৫২১ সালে প্রটেস্টান্ট গির্জার প্রতিষ্ঠাতা মার্টিন লুথার এই ভার্টবুর্গে আশ্রয় নেন। বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্টকে গ্রিক হতে জার্মানে অনুবাদ করেছিলেন।

ইটালির ক্যাসল অফ দ্য হোলি এঞ্জেল

১৫২৭ সালে পবিত্র রোম সাম্রাজ্যের সৈন্যরা যখন রোম নগরীকে বিধ্বস্ত করে, ঠিক তখন পোপ সপ্তম ক্লিমেন্ট স্বয়ং আশ্রয় নিয়েছিলেন এই প্রাসাদদুর্গটিতে! পোপের রাজত্বে সপ্তদশ শতাব্দী হতে ১৮৭০ সাল অবধি এই ক্যাসলটিকে কারাগার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রাসাদটি টাইবার নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। এককালে ছিল রোমান সম্রাট হেড্রিয়ানের সমাধিসৌধ।

This post was last modified on নভেম্বর ২২, ২০১৬ 11:01 pm

Staff reporter

Recent Posts

কাঁচা মরিচের পুষ্টিগুণ জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাঁচা মরিচ আমাদের রান্নাঘরের এক অপরিহার্য উপাদান। খাবারের স্বাদ, গন্ধ…

% days ago

প্রাপ্তবয়স্কদের সিনেমাটি নিয়ে পায়েল যা বললেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৪ নভেম্বর মুক্তি পায় কলকাতার ‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’…

% days ago

“ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার কঠোর নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী…

% days ago

তুরস্কে বিড়াল পেল নাগরিকত্বের স্বীকৃতি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…

% days ago

A wonderful landscape

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…

% days ago

শসার পুষ্টিগুণ জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…

% days ago