The Dhaka Times Desk একটি মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল প্রাচীন মিশরকে! প্রশ্ন আসতে পারে কী মৃত্যু ছিলো সেটি? কেনোই বা এতো নাড়া দিয়েছিলো প্রাচীন মিশরকে?
ফারাও শাসক তুতেনখামেনকে মিশরের বালক রাজা বলা হয়ে থাকে। ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ হাওয়ার্ড কার্টার আজ থেকে প্রায় ৯১ বছর পূর্বে ভ্যালি অব কিংস-এ তুতেনখামেনের সমাধি আবিষ্কার করেন। বিভিন্ন নিদর্শন হতে জানা গেছে, তার মৃত্যু ওই সাম্রাজ্যকে আলোড়িত করেছিল। তবে কেনো এই আলোড়ন? ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এক প্রতিবেদনে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন।
সাম্প্রতিককালের প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার অনুসারে, তুতেনখামেনের বাবা হলেন আখেনাটন। তুতেনখামেনের মৃতুর পর তাকে যে সমাধিমন্দিরে সমাহিত করা হয়েছিলো যেখানে, ঠিক সেখানে আরও একটি সমাধি রয়েছে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। এই বিষয়টি নিয়ে এখনও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আর সেটি বর্তমানে উন্মোচনের অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে কী কারণে অত্যন্ত সম্মানিত একজন শাসককে এমন সমাধিমন্দিরে সমাহিত করা হয়েছিলো, বা যেখানে আরও একজনের সমাধি রয়েছে সেখানে কেনো সমাহিত করা হয়? সেটি একটি বড় প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে গবেষকরা বলেছেন, তার মৃত্যু নাকি হঠাৎ করেই হয়েছিল। কেও আশা করেনি এতো অল্প বয়সে তার মৃত্যু ঘটবে। সে কারণে তার মৃতদেহ সমাহিত করার জন্য কোনো প্রস্তুতিও ছিলো না।
তবে প্রায় ৩,৩৩৬ বছর পর নতুন কিছু নিদর্শন বলছে, হত্যা, কুষ্ঠ কিংবা সাপের কামড় নয়-তুতেনখামেন মারা গিয়েছিলেন দ্রুত ছুটে আসা কোনো দুই চাকার গাড়ি কিংবা বাহনের আঘাতে!
আরও জানা যায়, ১৩২৩ খ্রিস্টপূর্বে যখন তুতেনখামেন মারা যান, ঠিক তখন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তার মরদেহকে সুগন্ধীদ্রব্য দ্বারা সজ্জিত করা হয় এবং সমাহিত করা হয়। হয়তো ভুলের কারণে সম্ভবত তার মমিকৃত দেহটি নিজ থেকেই জ্বলে গিয়েছিল।
জানা যায়, তুতেনখামেনের কোনো ছেলে কিংবা উত্তরাধিকারী না থাকার কারণে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজ্য কে শাসন করবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিলো। আর তাই সে সময় ব্যাপক আলোড়ন ফেলে প্রাচীন মিসরে। কোনো উত্তরাধিকার না থাকায় শেষ পর্যন্ত রাজ্যের শাসনভার চলে যায় সেনাপতি হোমেরহেবের হাতে!