The Dhaka Times Desk জেলখানা মানেই যন্ত্রণা ও শাস্তির স্থান। জেলখানা মানেই এক অন্ধকারাচ্ছন্ন কুঠুরি মাত্র। তবে ব্যতিক্রমি এক কারাগারের গল্প রয়েছে যা কয়েদিদের জন্য যেনো এক স্বপ্নের।
সংবাদ মাধ্যমে এমন একটি কারাগারের খবর প্রকাশিত হয়েছে। নরওয়ের একটি সংশোধনাগারের অন্দরমহল দেখার পর যে কেও এটিকে পাঁচ তারা হোটেল বলে মনে করতে পারেন।
নরওয়ের এই কারাগারটির নাম ‘হ্যাল্ডেন প্রিজন’। দেশটির দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ জেলখানা এটি। খুব বেশিদিন আগে নয়, ২০১০ সালে তৈরি করা হয় এই সংশোধনাগার। ‘ইনমেটস’দের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হতে শুরু করে, কয়েদিদের বিনোদনের বেশ কিছু আয়োজনও রয়েছে। খেলাধুলো, গান-বাজনার সময় কয়েদিদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন জেলখানার কর্মীরাও।
জেলখানা অর্থই যে অন্ধকারাচ্ছন্ন কুঠুরির মতো কোনো ঘরে বন্দি, এখানে একেবারেই তা নয়। ছোট্ট ছোট্ট সুন্দর করে সাজানো ঘর। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেই চোখে পড়বে সবুজ লন, নানা রঙের ফুলের।
এই জেলখানায় কয়েদিরা নিজেরাই সবজি-ফলের চাষ করেন। রান্নাও করেন তারা নিজেরাই। একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, টেলিভিশন দেখা, সব কাজই করেন তারা। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্যমে তাদেরকে স্বাভাবিক ও মনোরম পরিবেশের মধ্যে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে এই জেল কর্তৃপক্ষ!
উল্লেখ্য, নরওয়ের অন্যান্য জেলের তুলনায় এই ‘হ্যাল্ডেন প্রিজন’কে ‘ম্যাক্সিমাম সিকিউরিটি প্রিজন’ তালিকার মধ্যে ধরা হয়। তবে সেখানকার কর্তৃপক্ষের কথা হলো, আসামী যতোই ভয়ানক হোক না কেনো, তাকে ‘মানুষ’ হিসেবে সম্মান দিলে, কিছুটা হলেও তার ব্যবহারে সেটি প্রতিফলিত হয় এবং তখন তাদের মধ্যে অপরাধবোধ হয় ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রবণতা তৈরি হয়।