The Dhaka Times Desk হেল্পলাইনে ফোন দেয়ার পর গ্রাহকের সমস্যার সমাধান না করে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করানোর অভিযোগে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর বাংলালিংককে অর্থদণ্ড দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। মঙ্গলবার অর্থদণ্ডের ২৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে যে, আহম্মদ আলী মিনু নামে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বাংলালিংক গ্রাহক গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
ওই ব্যক্তি তার অভিযোগে বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি রাত ৮টার সময় বাংলালিংকের হেল্পলাইনের নম্বরে তিনি কল করেন। কলটি ১ ঘণ্টা ২৯ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড ধরে বাজতে থাকার পরও কেও কলটি রিসিভ করেনি। উল্টো তার মোবাইলের ব্যালেন্স হতে ৫৪ টাকা ৭৯ পয়সা চার্জ কেটে নেওয়া হয়। পরে বাংলালিংক অফিসে যোগাযোগ করলে তারা কোনো সমাধান করেনি, আবার কর্তনকৃত টাকাও ফেরত দেননি।
ওই গ্রাহকের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রথম শুনানি করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। পরে ৯ মার্চ দ্বিতীয় শুনানিতে ভোক্তার পক্ষ হতে বাংলালিংকের কাছ থেকে তাদের হেল্পলাইনের কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চেয়ে ১৯ মার্চ আবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। ওইদিন বাংলালিংক তাদের সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারার কারণে শুনানি শেষে তাদের জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এ বিষয়ে অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জাব্বার মন্ডল বলেছেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নির্দেশনা অনুযায়ী ভয়েস টু ভয়েস কল সমাধান ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে করতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে বাংলালিংকের হেল্পলাইনের অভিযোগকারী গ্রাহক ৫ হাজার ৩৯৮ সেকেন্ড (অর্থাৎ ১ ঘণ্টা ২৯ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড) কল করেও কোনো সমাধান পাননি। যা সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন। এই প্রেক্ষিতে গ্রাহকের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সালের ৪৫ ধারা অনুযায়ী বাংলালিংককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার এই অর্থ গত মঙ্গলবার চেকের মাধ্যমে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ অত্র অধিদফতরে জমা দিয়েছে। আইন মোতাবেক অভিযোগকারী জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬ হাজার ২৫০ টাকা পাবেন।
বাংলালিংকের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন আসিফ আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “বাংলালিংক গ্রাহকদের সেরা মানের সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের (ডিএনসিআরপি) নিকট হতে আমরা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশনাটি পেয়েছি। বাংলালিংক ডিএনসিআরপির আদেশের প্রতি যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন করে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলালিংক গ্রাহক সেবার মানের কোনো ব্যত্যয় ঘটায়নি ও কোনো গ্রাহকের অধিকার ক্ষুণ্ণ করেনি।” এমন মন্তব্য করেন তিনি।