The Dhaka Times Desk নাম রূপকথা হলেও অনেকটা রূপকথার মতোই গিনেস বুকে ক্ষুদে কম্পিটার প্রোগ্রামার হিসেবে নাম উঠতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ৬ বছরের শিশু ফারহান রূপকথার। পুরো নাম ওয়াসিক ফারহান রূপকথা।
বিশ্বের সবচেয় ক্ষুদে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে গিনেস বুকে তার নাম উঠার মধ্য দিয়ে স্কুলে পা দেয়ার আগেই বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে যাচ্ছে রূপকথা। রূপকথা’র মা সিন্থিয়া ফারহিন রিসা এ তথ্য জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে। তিনি জানান, খুব শিগগিরই বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদে প্রোগামার হিসেবে গিনেস বুকে রূপকথার নাম প্রকাশ পেতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। তিনি জানান, গিনেস বুকে নাম প্রকাশের নিয়ম অনুযায়ী, গত ১৬ মে ক্রিয়েটিভ আইটি থেকে একটি ভিডিও ডুকুমেন্টেশন তৈরি করা হয়েছে। ডকুমেন্টশনটি সমপ্রত ডিএইচএল এর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ৬ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ কম্পিউটার প্রোগ্রামারের পদবিটি দখল করে রূপকথা বিশ্বে ইতিহাস সৃষ্টি করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়।
দ্য নিউ ইয়র্ক, হেরাল্ড ট্রিবিউন, ক্যালিফোর্নিয়া অবজারভার, এস্টেট নিউজ, চিলড্রেন পোস্ট এবং অনেক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট তাকে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে অভিহিত করা হয়। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) তাকে একজন সর্বকনিষ্ঠ কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে সংবর্ধনা দেয়। এছাড়াও যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বনন্দিত টিভি অনুষ্ঠান ‘রিপ্লিস বিলিভ ইট অর নট’ রিপ্লিস তাদের নতুন বইতে রূপকথার নাম অন্তর্ভুক্ত করে। এরপর অষ্টম শ্রেণীর ‘ইংলিশ ফর টুডে’ টেক্স’ বইয়ে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অধিকাংশ শিশু যখন খেলনাপত্র নিয়ে খেলাধুলা করে তখন রূপকথা তার নিজস্ব কম্পিউটার সিস্টেম (উইন্ডোজসহ) তৈরি করে এবং একজন বিশেষজ্ঞের মতো কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করে। মেধাবী রূপকথার বাসা রাজধানী ঢাকার গুলশানে।
উল্লেখ্য, অবিশ্বাস্য ঘটনা হলো মাত্র ৭ মাস বয়স থেকেই সে কম্পিউটার নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করে এবং দুই বছর বয়সে কম্পিউটারে লেখালেখি করা শিখে ফেলে। তার গর্বিত মা সিন্থিয়া ফারহিন রিসা এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, এই বিস্ময় বালক প্রতিদিন ১২ ঘণ্টারও বেশি কম্পিউটারের পেছনে ব্যয় করে এবং গেমের কারেক্টর কীভাবে পরিবর্তিত হয় তা জানার চেষ্টা করে। এখন সে সি++, জাভা প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করছে। কম্পিউটার প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখনো স্কুলে ভর্তি করা হয়নি। সিনথিয়ার বাবা ওয়াসিম ফারহান ব্যবসায়ী এবং মা গৃহিনী।
তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর/নতুন বার্তা/আইএইচ/জবা