The Dhaka Times Desk সারা বিশ্বের চলচ্চিত্র নির্মাতারা চেষ্টা করেন দর্শকদের আকর্ষণীয় সিনেমা উপহার দেওয়ার। কিন্তু কাল্ম নামের একটি মেডিটেশন প্রোডাক্ট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় তৈরি করেছে এমন এক সিনেমা যা দেখলে আপনার ঘুম ছাড়া কিছুই আসবে না।
‘ব্যা ব্যা ল্যান্ড’ নামের এই সিনেমাটির চিত্রায়ন হয়েছে ইংল্যান্ডের এসেক্সে। এই সিনেমায় চরতে থাকা ভেড়া ছাড়া আর কিছুই দেখা যাবে না। সিনেমাটিতে কোনো ডায়লগ, প্লট বা অভিনেতা নেই। অর্থাৎ একটি সাধারণ সিনেমার যেসব বৈশিষ্ট্য থাকে সেগুলির কিছুই আপনি এতে পাবেন না। মূলত দর্শককে ঘুম পাড়ানোই এই সিনেমা নির্মাণের উদ্দেশ্য।
সিনেমাটি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘ঘুমের ঔষধের চেয়ে ভালো’ ও ‘ইনসোমনিয়ার শেষ সমাধান’ হিসেবে প্রচার করছে ৮ ঘন্টাব্যাপী এই সিনেমাটিকে । সিনেমাটির প্রযোজক পিটার ফ্রিডম্যানের মতে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বিরক্তিকর সিনেমা, এবং তিনি আশা করছেন দর্শক এটি দেখার পর তার সাথে এ ব্যাপারে একমত হবে।
সিনেমাটিতে একজন ধারাভাষ্যকার বলেন, প্রচন্ড চাপ ও উদ্বিগ্নতার মধ্যে সিনেমাটি শান্তির ঘুম এনে দিতে সাহায্য করবে। শুধুই ভেড়ার পাল দেখে যেতে হবে দর্শকদের। যদি তাদের ইচ্ছা হয় ভেড়াগুলি গুণে দেখার ইচ্ছা হয় তাহলে তারা গুণে দেখতে পারে। আর যদি গুণে দেখতে না চায় তাহলেও সমস্যা নেই।
প্রযোজক পিটার আরও বলেন, ইদানিং প্রত্যেকে খুব চাপে থাকে, এবং এ কারণে ভালো ঘুম হয় না। সিনেমাটি ভালোভাবে ঘুমাতে সবাইকে সাহায্য করবে। আগামী সেপ্টেম্বরে লন্ডনের প্রিন্স চার্লস সিনেমায় ‘ব্যা ব্যা ল্যান্ডের’ প্রিমিয়ার হবে। কাল্মের কো ফাউন্ডার মাইকেল স্মিথ বলেন, আমরা বক্স অফিসে রেকর্ড করার আশা করছি না। তবে আমাদের ধারণা নির্দিষ্ট এক ধরনের দর্শক সিনেমাটি দেখবে।
সিনেমাটি মোটামুটি সফল হলে নির্মাতারা এর সিক্যুয়াল বানাতেও আগ্রহী। তবে এর চেয়েও বেশি ঘুমপাড়ানি সিনেমা বানানো বেশ কঠিন হবে বলে তারা ধারণা করছেন। সেক্ষেত্রে ১৬ ঘন্টা ব্যাপী ও আরও বেশি সংখ্যক ভেড়া নিয়ে সিনেমা করার ইচ্ছা রয়েছে তাদের।
References: www.odditycentral.com