The Dhaka Times Desk এবার সবচেয়ে বড় ‘উভচর’ বিমান বানালো চীন। সফলভাবে প্রথম উড্ডয়নও শেষ করেছে এই বিমানটি। গত রবিবার বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী শহর ঝুয়াই হতে আকাশে ওড়ে উভচর এই বিমানটি।
উড়োজাহাজ নির্মাণ শিল্পে সামরিক যান তৈরিতেই খুব বেশি পরিচিতি লাভ করেছে চীন। নতুন বিমানটির সাফল্য দক্ষিণ চীন সাগরে দেশটির আধিপত্য বাড়াবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
গত রবিবার বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী শহর ঝুয়াই হতে আকাশে ওড়ে উভচর এই বিমানটি। যে বিমানগুলো জল এবং স্থল উভয় স্থানেই ওঠানামা করতে পারে। আর তাই এগুলোকে উভচর উড়োজাহাজ বা অ্যামফিবিয়াস বিমান বলা হয়।
জিওয়ান সিভিল এভিয়েশন এয়ারপোর্ট হতে আকাশে ওড়ে এজি৬০০ মডেলের বিমানটি। এই বিমানের ছদ্মনাম বলা হয়েছে ‘কুনলং’। সফলভাবে এক ঘন্টা আকাশে উড়েছে নতুন এই এয়ারক্রাফটটি।
এজি৬০০-এর প্রধান নকশাকারী হুয়াং লিংচাইয়ের বরাত দিয়ে চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয় যে, “এই বিমানটির প্রথম সফল উড্ডয়ন চীনকে বড় উভচর বিমান প্রস্তুতকারী কিছু সংখ্যক দেশের একটিতে পরিণত করেছে।”
নতুন এই বিমানে চীনে তৈরি ৪টি টারবোপপ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিমানের দৈর্ঘ্য রাখা হয়েছে ৩৯.৬ মিটার। এর পাখার দৈর্ঘ্য ৩৮.৮ মিটার। এ সব তথ্য দিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অফ চায়না (এভিআইসি)।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সর্বোচ্চ ৫৩.৫ টন ওজন নিয়ে উড়তে সক্ষম কুনলং। এটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটার। একটানা ১২ ঘন্টা উড়তে পারবে এই নতুন বিমানটি।