The Dhaka Times Desk মাঝে মধ্যেই শোনা যায় সেচি বা এই ধরনের কোনো বস্তু পেট থেকে বের হওয়ার খবর। তবে এবার পেট থেকে বের হলো লোহার রড, সুই, চামচ!
এমন একটি ঘটনা সকলকে বিস্মিত করেছে। চিকিৎসকরাতো রীতিমতো হতবাক হয়েছেন। তারা বলেছেন, এটি সত্যিই অসম্ভব একটি ব্যাপার। ৬ ইঞ্চি লম্বা লোহার রডের একটি টুকরা, দুটি চা চামচের অংশ ও লম্বা একটি সুই! এই লিস্ট দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন এটি মনে হয় কোনো ভাঙারির দোকানের বিবরণ! কিন্তু তা নয়। এক ব্যক্তির পেট থেকে বের করা হয় এতোগুলো জিনিস। তরুণ রবিদাস নামে এক যুবকের পেট হতে অপারেশন করে বের করা হয়েছে ওইসব সামগ্রী!
কোলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় এই খবর দেওয়া হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। গত সপ্তাহে হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল অস্ত্রোপচার করে তরুণের পেট হতে ধাতব এই জিনিসগুলো বের করে আনেন। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
তরুণ রবিদাস পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। এই যুবকের বড় ভাই বরুণ রবিদাস জানিয়েছেন, তার ভাই আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন। কখন যে লোহার রড, চামচ খেয়ে ফেলেছে তা কেও জানে না।
বরুণ রবিদাস আরও জানান যে, মাসখানেক ধরে তরুণের পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। এরমধ্যে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে দিদির বাড়িতে বেড়াতে যান তরুণ। সেখানেই পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। সেই সঙ্গে রক্তবমিও হয়। রাতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পেটে এক্সরে করা হয়।
তারপর সার্জন অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত হয় পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড। শুরু হয় তরুণের অস্ত্রোপচার। অপারেশন করে তার পাকস্থলী ও বৃহদন্ত হতে উদ্ধার করা হয় রড, চামচ ও সুই।
সংবাদ মাধ্যমকে হাসপাতালের সুপার অমিতকুমার বলেছেন, ধাতব টুকরাগুলো হজম হয়নি। বড় হওয়ায় শরীর থেকে বেরিয়েও যায়নি। সে কারণে ওই যুবক খুবই কষ্ট পেয়েছেন।
তরুণ রবিদাস দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের মঙ্গলপুরের বাসিন্দা। তার পেট থেকে যা পাওয়া গেলো, তা অন্তত এই হাসপাতালে বা আর কোথাও কখনও ঘটেনি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন। তবে ৬ ইঞ্চি লম্বা একটি রড কিভাবে খাওয়া সম্ভব সেটি ভাববার বিষয়।