The Dhaka Times Desk আমাদের দেশে পাত্রী সংখ্যা সাম্প্রতিক সময় বেড়ে যাওয়ায় অবিবাহিত নারী বেশি চোখে পড়ে। কিন্তু চীন ও ভারতে নাকি পাত্রীর জন্য হাহাকার পড়ে গেছে!
সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল, সরকারের ডিক্রি এবং আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রযুক্তির সমন্বয়ে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দুটি দেশের বাস্তব চিত্র নাকি পাল্টে গেছে। চীন ও ভারতে দেখা দিয়েছে লিঙ্গগত অসমতা। অর্থাৎ নারী এবং পুরুষের সংখ্যায় মারাত্মক হেরফের লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই দুটি দেশে নারীদের তুলনায় পুরুষের আনুপাতিক সংখ্যা নাকি ৭ কোটি বেশি!
দেশ দুটিতে বেশি পুরুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেখানে মারাত্মক এক পাত্রী সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। উঠতি বয়সের যুবক বা বিয়ের বয়সী যুবকরা পাত্রী পাচ্ছেন না। যে কারণে তাদের অনেককে একাকীত্ব বরণ করতে হচ্ছে। পতিতাবৃত্তির হার এবং স্থানও নাকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পরিণতি হিসেবে শুধু যে চীন বা ভারত ভুগছে তা নয়। এর প্রভাব পড়ছে এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোতেও।
এই বিষয়ে সিয়ান জিয়াওতোং ইউনিভার্সিটির জনসংখ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ লি শুঝুউ বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে লাখ লাখ পুরুষকে অবিবাহিত জীবন বেছে নিতে হবে। এতে সমাজের ওপর বড় ধরনের একটি ঝুঁকি তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চীনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। এর মধ্যে নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা ৩ কোটি ৪০ লাখ বেশি।
এই সংখ্যা ক্যালিফোর্নিয়া বা পোল্যান্ডের জনসংখ্যার সমান। এসব মানুষ অর্থাৎ ৩ কোটি ৪০ লাখ পুরুষ কোনোদিন বিয়ে করার জন্য মেয়েই খুঁজে পাবে না! শারীরিক ক্ষুধা মেটানোর জন্য এরা খুঁজতে থাকে নিষিদ্ধ পল্লী। সেখানে শারীরিক ক্ষুধা মিটাতে গিয়ে তারা এইচআইভির মতো নানা কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া প্রতিবেশী কোনো দেশে গিয়ে সেখানে মনের মানুষ খুঁজতে পারে। তাই ঝুঁকি সব ক্ষেত্রেই রয়েছে।
চীন সরকার দ্রুতগতিতে বর্ধনশীল জনসংখ্যার রেশ টানতে ১৯৭৯ সালে সেখানে ওয়ান চাইল্ড পলিসি বা এক শিশু নীতি গ্রহণ করে। তা ১৯৭৯ সালে কার্যকর হয়ে অব্যাহত থাকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। এই সময় কোনো দম্পতিকে একের অধিক সন্তান নিতে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। যে কারণে কোনো দম্পতি সন্তানের পিতামাতা হওয়ার আগে গর্ভস্থ শিশু ছেলে নাকি মেয়ে তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। যদি তারা দেখতে পান গর্ভস্থ শিশু একটি কন্যা শিশু তাহলে সেক্ষেত্রে গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে। কারণ হলো তারা ভবিষ্যত প্রজন্ম হিসেবে ছেলেকেই বেছে নিতে চান। এমন ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। সে কারণে ছেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
মেয়ে শিশুকে সেখানে কখনও ভালো চোখে দেখা হয় না। অভিভাবকরা মনে করেনযে, ছেলে শিশু হলে সে তাদের ভবিষ্যত দেখবে। তাই কন্যা শিশুকে গর্ভপাত করে ফেলে দেওয়া হয়। এর ফলশ্রুতিতে সেখানে কন্যা শিশুর সংখ্যা দ্রুত কমে এসেছে। বেড়েছে ছেলে সন্তানের সংখ্যা।
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও একই রকম প্রবণতা রয়েছে। সেখানেও মেয়ে শিশুর চেয়ে ছেলে শিশুকে পছন্দ করা হয়। সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, ভারতে নারীর তুলনায় পুরুষদের সংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখ বেশি। ছেলে সন্তানের চেয়ে মেয়ে সন্তান জন্ম নেওয়ার প্রবণতা একেবারেই কমে গেছে ভারতে, যদিও ভারত অধিকতর উন্নত ও সমৃদ্ধশালী একটি দেশ। যে কারণে ভারতেও অবিবাহিত পুরুষের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে।
ফলশ্রুতিতে ঘটছে মানবপাচারের মতো ঘটনা। আর তা ঘটছে নারীর লোভ দেখিয়ে। আবার কখনও কখনও পতিতাবৃত্তির লোভ দেখিয়েও ঘটছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিভাবকরা পূর্বেই সন্তানের পরিচয় জেনে নিতে পারে। যে কারণে তারা কন্যা শিশুর ভ্রুণকে হত্যা করে ফেলে জন্মের পূর্বেই। চীন ও ভারত মিলে নারীর তুলনায় ২০ বছরের নিচে বয়স এমন পুরুষের সংখ্যা ৫ কোটিরও বেশি। যে কারণে তাদের কপালে মেয়ে জুটা এখন ভাগ্যের ব্যাপারে পরিণত হয়েছে!
This post was last modified on মে ১, ২০১৮ 1:27 pm
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি সংস্থায় কাজ করতে হলে কর্মীদের মেনে চলতে হয় বিদ্ঘুটে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি শরীরচর্চা করলে শরীর ফিট থাকে। ওজনও তখন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বাজারে ফিলিপস, ট্রান্সফরমার, মনস্টার এবং এয়ারমার্স ব্র্যান্ডের এআইওটি (আর্টিফিশিয়াল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৩ সালে ‘গদর’-এর সিক্যুয়েল দিয়ে বক্স অফিসে ঝড়ো ইনিংস শুরু…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, আহত ওই মধ্যবয়সি ব্যক্তির নাম…