The Dhaka Times Desk বিখ্যাত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্জির সেই বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসা নিয়ে আজও গবেষণা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় গবেষণা করা হয়েছে এই চিত্রকর্মটি নিয়ে। এবার বলা হয়েছে, ব্যাকটেরিয়ায় তৈরি হয়েছিল মোনালিসা চিত্রকর্ম!
মোনালিসা একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম সেটি আমাদের সকলের জানা। মোনালিসার সেই ভুবনমোহিনী হাসি আজও রহস্যের মধ্যে ঘেরা। এই চিত্রকর্মটি নিয়ে আলোচনার যেনো শেষ নেই। এই শিল্পকর্মটি প্রায় সকল সৌন্দর্য পিপাসু মানুষই সংগ্রহে রাখেন। একই সঙ্গে দুনিয়াজুড়ে এই ছবির বাস্তবতা খুঁজতে আগ্রহের যেনো সীমা নেই কৌতূহলী মানুষদের।
এই শিল্পকর্মটি দেখতে ঝাপসা, পুরনো। তবে মোনালিসার এই কপিটি নাকি ল্যাবরেটরিতে তৈরি। এই মোনালিসাকে তৈরি করা হয়েছে এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া দিয়ে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আমাশা রোগের ব্যাকটেরিয়া এশেরিশিয়া কোলাই (বা সংক্ষেপে ই. কোলাই) দিয়ে নাকি তৈরি করা হয়েছে মোনালিসার প্রতিকৃতি। রোম ইউনিভার্সিটি’র গবেষকদের এই কাজের তথ্য উঠে এসেছে ই-লাইফ নামক একটি জার্নালে।
অনেকেই বলেছেন, এমন অদ্ভুত একটা কাজ করার কীই বা দরকার ছিলো? তবে গবেষকরা অবশ্যই ভালো উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করছিলেন। মূলত ব্যাকটেরিয়াগুলোকে আলোর সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করার অনুশীলন করছিলেন গবেষকরা। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ফটোকাইনেসিস। বলা হয়েছে ই. কোলাই খুব ভালো সাঁতার কাটতে পারে। তারা নিজের দৈর্ঘ্যের ১০গুণ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে মাত্র এক সেকেন্ডে। তাদের শরীরে জৈবিক এক ধরণের মোটর রয়েছে, এর নাম ফ্ল্যাজেলার মোটর। অনেকটা বৈদ্যুতিক মোটরের মতোই কাজ করে। সাধারণত বেঁচে থাকার তাগিদে ও খাবারের সন্ধানে এতো দ্রুত সাঁতরায় এসব ব্যাকটেরিয়া।
জানা গেছে, গবেষকরা এসব ব্যাকটেরিয়ার শরীরে বিশেষ কিছু প্রোটিন (প্রোটিওরহোডপসিন) প্রবেশ করান। যে কারণে তারা আলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। আলো ব্যবহার করে একটি স্থানে ব্যাকটেরিয়ার ঘনত্ব কমানো বা বাড়ানো যায় কিনা, তা পরীক্ষা করেন গবেষকরা। গবেষকরা মোনালিসার একটি নেগেটিভ ছবি নিয়ে এতে আলো ফেলেন।
তারপর এরমধ্য দিয়ে যাওয়া আলো ওই ব্যাকটেরিয়ার ওপর ফেলা হয়। দেখা যায় যে, যেখানে আলো বেশি পড়েছে ঠিক সেখানে বেশি ব্যাকটেরিয়া জমেছে। মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখা যায় যে, মাত্র চার মিনিটের মধ্যেই মোনালিসার অবয়ব তৈরি করে ফেলেছে ব্যাকটেরিয়াগুলো।
গবেষক রবার্টো ডি লিওনার্দো জানিয়েছেন, আলোর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।এই কাজটি তারা করেছেন তুলনামূলকভাবে কম প্রযুক্তি ব্যবহার করে। আরও বিশদ গবেষণার মাধ্যমে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এই বিষয়টির প্রয়োগ ঘটানো যাবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।