The Dhaka Times Desk. ছোট বেলায় গ্রামে দেখেছি ভ্যানগাড়িতে করে মিষ্টি আলূ বিক্রয় করতে আসতো। তাদের প্রচারণার কথা গুলো এখনো মনে পরে। তারা বলত “ লোহার ওজনে মিষ্টি আলূ, এক পাল্লায় লোহা আর এক পাল্লায় আলু” লাল, ঘোলাটে সাদা রংয়ের মিষ্টি আলু খেতে অনেক মজা।
সেই মিষ্টি আলুর যে এত গুন আগে কখনো ভাবিনি। আজ আমরা মিষ্টি আলুর নানা গুনাগুণ নিয়ে আলোচনা করব।
১। ক্যান্সার প্রতিরোধঃ
‘সুপার ফুড’ হিসাবে পরিচিত মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এ কারণে এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুন কার্যকরী। বিশেষজ্ঞদের মতে, খোসাসহ মিষ্টি আলু খেলে বেশি ভাল হয়।
2. Helps in digestion:
যাদের কৌষ্ঠকাঠিন্য জাতীয় সমস্যা রয়েছে তারা মিষ্টি আলু খেলে কৌষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। কারণ মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৩। কিডনীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ
মিষ্টি আলু কিডনীর সমস্যা দূর করে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে রয়েছে শর্করা, আমিষ, কলয়েড পদার্থ, ভিটামিন বি,সি, পটাসিয়াম আর সোলানিন। এটি প্লীহা আর পাকস্থলীর দুর্বলতা দূর করার পাশাপাশি দেহের সাধারণ দুর্বলতা দূর করতে সহায়ক।
৪। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ
এই আলুতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি। মিষ্টি আলু ইনসুলিন প্রতিরোধক ক্ষমতাকে স্থির রেখে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
৫। নিজেকে ফিট রাখতেঃ
সবুজ আঁশযুক্ত মিষ্টি আলু আমাদের শরীরকে স্লিম এবং ফিট রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এই আলু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে নিজেকে ফিট রাখা সম্ভব।
৬। দ্রুত ক্ষুধা লাগার ভাব কমায়ঃ
মিষ্টি আলুতে যেহেতু প্রচুর ফাইবার রয়েছে, সেহেতু এই আলু খাওয়ার ফলে ক্ষুধা ভাব দুর হয়। কিছুদিন নিয়মিত এই আলু খাওয়ার ফলে দ্রুত ক্ষুধা লাগার সমস্যা ভাল হয়ে যায়।