The Dhaka Times Desk পৃথিবীতে মানুষ আশা করেন এক রকম আর পান তার বিপরিত। এমনই ঘটনা ঘটেছে এক মহিলার। তিনি ১৫ কন্যার জন্ম দিলেন এক ছেলের আশায়।
মানুষ যা চাই তা সব সময় পায়না। আশা করলে সব আশা পূরণ হবে এমনও সব সময় ঘটে না। এক মহিলার ক্ষেত্রেও ঘটেছে এমনটি। তিনি প্রতিবছরই ছেলে সন্তানের আশা করেন। কিন্তু বছর বছর তার কোল আলো করে আসে কন্যা সন্তান। আবারও নতুন করে শুরু হয় ছেলের আশা। কর্নাটকের ওই মহিলা এভাবেই একে একে ১৫ কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সম্প্রতি ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানা যায়।
ওই মহিলা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘তার স্বপ্ন কেবল একটা ছেলের। কিন্তু ছেলে আর হচ্ছে কই। প্রতিবছরই তাই সন্তানের পরিকল্পনা। বছর বছর শুধুই কন্যা সন্তানের জন্ম। তাতে কি? আবার নতুন করে ছেলের ভাবনা। কর্নাটকে এভাবেই ১৫ কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই মহিলা।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কর্নাটকে দিনমজুরি করে সংসার চালান শেঠানি বাই আর তার স্বামী গোবর্ধন রাঠৌর। দারিদ্র্যের কারণে সংসার চালাতে কালঘাম ছুটে যায় তাদের। কিন্তু ছেলের স্বপ্ন ওদের ছাড়ে না। ছেলের আশায় বছর বছর অন্তসত্ত্বা হন শেঠানি বাই। প্রতিবারই জন্ম দেন মেয়ে। গত ১৫ বছরে এভাবেই ১৫ কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন শেঠানি বাই। এদেরমধ্যে ৬ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
সর্বশেষ গত ১১ জুন শেঠানির ছোট মেয়ের জন্ম হয়। তারপর হতে খোঁজ নেই স্বামী গোবর্ধনের। গোবর্ধন কর্মসূত্রে মুম্বাইতে থাকেন। তিনি স্ত্রীর ফোনও ধরছেন না। ছোট মেয়েটিকে তাই আর বাড়ি আনতে পারেননি শেঠানি- হাসপাতালেই রেখে এসেছেন।
শেঠানির করুণ আর্তি, আমি কী করতাম? খাবো কী জানি না? সরকারও কিছু দিচ্ছে না। কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না। তাই মেয়েটাকে হাসপাতালেই রেখে এলাম।