The Dhaka Times Desk মাঝে-মধ্যেই বিমান বন্দরে যাত্রীদের সঙ্গে এয়ারওয়েজের কর্মকর্তারা দুর্ব্যবহার করেন। এবারও ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। থাই এয়ারওয়েজের ডিউটি ম্যানেজার সেলিম মুস্তাককে এই জরিমানা গুণতে হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে থাই এয়ারওয়েজের ডিউটি ম্যানেজার সেলিম মুস্তাককে। গতকাল (রবিবার) দুপুরে ঢাকা হতে ব্যাংককগামী দুই যাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণের জন্য এই জরিমানা করে বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট।
বিমানবন্দর সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ঢাকা হতে ব্যাংককগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩২২ ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাসের যাত্রী ফারজানা এবং তার স্বামী রবিবার ১টা ৪০ মিনিটে ওই ফ্লাইটটিতে ব্যাংকক যাওয়ার জন্য চেক-ইন শেষে বিজনেস লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিলেন।
ফারজানা জানিয়েছেন, স্বামীর চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে ব্যাংকক যাচ্ছিলেন। অসুস্থ থাকার কারণে ধীরগতিতে ফ্লাইটের বোর্ডিংয়ের জন্য যান তারা। অন্য যাত্রীদের থেকে তাদের বোর্ডিংয়ে আসতে কিছুটা দেরি হয়। সে কারণে বোর্ডিং ব্রিজে এলে থাই এয়ারওয়েজের ডিউটি ম্যানেজার সেলিম মুস্তাক তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ সময় ফারজানা এবং তার স্বামী ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ফ্লাইটে যেতে অস্বীকৃতি জানান। তখন ডিউটি ম্যানেজার তাদের ব্যাগেজ উড়োজাহাজ হতে অফলোড (ব্যাগ নামানো) করেন।
এরপর ফারজানা দুর্ব্যবহারের বিষয়টি ইমিগ্রেশন পুলিশকে অবহিত করেন। দায়িত্বরত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা অভিযোগসহ তাদের বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠান। সেখানে থাই এয়ারওয়েজের কর্মকর্তা এবং দুই যাত্রীর অভিযোগ শুনানি করা হয়। শুনানি শেষে থাই এয়ারের ডিউটি ম্যানেজার সেলিম মুস্তাককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। একইসঙ্গে পরবর্তী ফ্লাইটে যাত্রীদের ব্যাংকক যাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘দুই যাত্রীর অভিযোগ ও থাই এয়ারওয়েজের ডিউটি ম্যানেজার সেলিম মুস্তাকের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই ভোক্তা অধিকার আইনে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী আদায় করা জরিমানার অর্থ হতে যাত্রীদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পরবর্তী ফ্লাইটে তাদের ব্যাংকক যাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করানো হয়।’
উল্লেখ্য, মাঝে মধ্যেই এয়ার ওয়েজের কর্মকর্তারা যাত্রীদের অযথা হয়রানী করে থাকেন। সাধারণ যাত্রীরা নানা রকম হেনস্তার ভয়ে বিষয়গুলো চেপে যান।