The Dhaka Times Desk যাকে দিনরাত খাইয়ে-যত্ন করে বড় করে তুলেছেন, সেই পোষা অজগরই শেষ পর্যন্ত তার মনিবকে পরপারে পাঠিয়ে দিলেন! সাপের ছোবলেই মৃত্যু হলো এক যুবকের!
হাদিস শরীফে আছে, আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) একবার একটি সাপকে বাঁচিয়েছিলেন। তিনি তাঁর পাঞ্জাবির পকেটে লুকিয়ে রেখে একটি সাপের জীবন বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু পরে ওই সাপটি মহানবী (সা:) এর এক ফোটা রক্ত পান না করে ছাড়েনি। তারপর থেকে যেখাবে যে অবস্থায় হোক না কেনো সাপ মারার কথা বলেছেন আমাদের নবীজি। নামাজরত অবস্থায় সাপ এলে নামাজ ভঙ্গ করে আগে সাপ মারার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ সাপ মারা সুন্নত।
উপরোক্ত গল্পটি বলার কারণ হলো, ড্যান ব্র্যান্ডন নামে এক যুবকের সাপের সংশনে মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরার জন্য। ৩১ বছরের এই যুবক সাপ পুষতে খুব ভালোবাসতেন। ওই ভালোবাসা থেকেই সাপের কল্যাণে অর্থ সংগ্রহ করার উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি। সাপগুলোর মধ্যে আফ্রিকান রক পাইথন (অজগর) তার খুব বেশ প্রিয় ছিল। সম্প্রতি দক্ষিণ ইংল্যান্ডের চার্চ ক্রুকহ্যামে তার নিজের বাসায় ৮ ফিট লম্বা ওই অজগরের পাশেই পাওয়া যায় তার লাশ। ডেইলি মেইলের এক খবরে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ ইংল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, ড্যান ব্র্যান্ডন নামে এক যুবক সাপকে যে কক্ষে রাখতেন সেখানেই তার লাশ পাওয়া গেছে। লক্ষণ দেখে প্রাথমিকভাবে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তার পোষা অজগর সাপ গলা জড়িয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে কি না, সেই বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে এমনিভাবে হত্যার ঘটনা ইতিপূর্বে কখনও ঘটেনি। এই বিষয়টি যদি সত্যিই হয়ে থাকে তাহলে তা হবে এই দেশটিতে এমন ঘটনা এটিই প্রথম।
জানা যায়, ওই যুবক ব্র্যান্ডন সাপ পোষার ক্ষেত্রে বহুদিনের অভিজ্ঞ ছিলেন। বিশাল বার্মিজ প্রজাতির অজগরসহ বহু ধরনের সাপ পালতেন তিনি।
ওই যুবক ব্র্যান্ডন ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে একটি পাতাও তৈরি করেছিলেন। তার অর্থ সংগ্রহের বিষয়টিও অনিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, তার পোষা অজগরের কারণেই তার মৃত্যু ঘটেছে।