দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গুপ্তধন নিয়ে অনেক গল্প বা সিনেমা রয়েছে। কিন্তু বাস্তব জীবনে গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়ার ঘটনা আগে কখনও শোনা যায়নি। তবে এবার এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। এক ব্যক্তি নিজের বাগানে খুঁড়তে গিয়ে গুপ্তধনের সন্ধান পেয়ে গেছেন!
সিনেমা নাটকে বা রূপকথার গল্পে এমন গুপ্তধনের কথা শোনা যায়। কিন্তু বাস্তব জীবনে আগে কখনও শোনা যায়নি। তবে এবার এমনই একটি খবর সকলকে বিস্মিত করেছে। সোনা-রূপা, মণি-মাণিক্য! সব মিলিয়ে এক এলাহি ব্যাপার। বাস্তবে এমন ঘটনাই ঘটেছে। হিরে-জহরত ঠাসা গুপ্তধন হাতে পেয়েছেন নিউ ইয়র্কের স্টেটেন আইল্যান্ডের এক দম্পতি!
নিউ ইয়র্কের স্টেটেন আইল্যান্ডের ওই দম্পতি বাড়ির পিছনের বাগান পরিষ্কার করছিলেন। হঠাৎ মাটি খুড়তে গিয়ে একদিন গুপ্তধনের খোঁজ পেলেন ম্যাথিউ ও তার স্ত্রী মারিয়া কলোনা ইমানুয়েল দম্পতি। বিপুল পরিমাণ সম্পদ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ম্যাথিউ দম্পতি। স্টেনের আইল্যান্ডে নিজেদের ছোট্ট বাগান বাড়ি রয়েছে এই দম্পতির।
তাদের বাগানের পিছনের অংশ পুরোপুরি খোলা, তাই প্রায়ই হরিণ এসে পাতা খেয়ে গাছপালা ভেঙে লন্ডভন্ড করে যায়। দিনকয়েক আগে বাগানে নতুন গাছ লাগাবেন বলে মাটি খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করছিলেন তারা। এমন সময় হাতে শক্ত ধাতব কিছু ঠেকেছে বুঝতে পারেন। খানিকটা মাটি সরিয়ে দেখতে পান ধাতব জিনিসটা আসলে একটা বড় লোহার বাক্স।
মাটি খুঁড়ে ওই দম্পতি দেখেন একটা পুরনো মরচে ধরা বড় বাক্স। ম্যাথিউ বলেছেন, দেখে মনে হয়েছিল এটি কেব্লের বাক্স। সাবধানে বাক্স খুলতেই তার চোখ কপালে ওঠে। বাক্সের ভিতর উপচে পড়ছে টাকা, সোনা-হিরে-জহররে ভরা! অর্থাৎ গুপ্তধন!
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাথিউ-মারিয়া বলেছেন যে, ‘নগদ ৩৫ লাখ টাকার সঙ্গে অনেক আংটি, গয়না, দামি দামি পাথরও ছিল বাক্সটির মধ্যে। সম্পত্তি পেয়ে খুশি হয়েছিলাম ঠিক, তবে জানতাম সেটা আমাদের সম্পত্তি নয়। কী করবো সে কথা ভাবতে গিয়ে বাক্সের মধ্যে একটি চিরকুটে ঠিকানা খুঁজে পাই। সেটা আমাদেরই এক প্রতিবেশীর ঠিকানা। ঘটনাটি ২০১১ সালের। সে বছর ওই প্রতিবেশীর বাড়িতে ডাকাতি হয়ে বিপুল সম্পত্তি লুঠ হয়ে যায়, বাক্সটি তারই মধ্যে একটি ছিলো। এরপর ওই বাক্সের একটা কানাকড়িও নিজেদের কাছে না রেখে সবটাই তুলে দিয়েছিলাম ওই প্রতিবেশীর হাতে। হারানো সম্পদ ফিরে পেয়ে বিস্ময়ে হতবাক ওই প্রতিবেশী!’
এতো বিশাল সম্পত্তি হাতে পেয়েও কেনো হাতছাড়া করলেন? পাড়া-প্রতিবেশীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে দম্পতির জবাব হলো, ‘আমাদের এই ভালো কাজই হলো আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পত্তি।’ সত্যিই আজব এই পৃথিবী এবং পৃথিবীর মানুষ।