দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রমজানের রোযা এলে আমরা ব্যতিব্যস্ত হয় এই বিষয়ে জানার জন্য। যাদের সামর্থ্য আছে তারা রোযা রাখেন। তবে রোযা সম্পর্কে অনেক মাসয়ালা আমাদের জানা নেই। আজ জেনে নিন কিছু মাসয়ালা।
সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি। তিনি আমাদের দান করেছেন অফুরন্ত নেয়ামত। মহান আল্লাহ এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এবং তাঁর বংশধর ও সকল সাহাবীদের প্রতি দরুদ ও সালাম জানাচ্ছি।
রোযা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত মাসয়ালা আজকের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরছি।
ফজরের শুরু (সোবহে সাদেক) হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযা ভঙ্গের কারণ থেকে বিরত থেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ইবাদত পালন করা।
ইসলামের ৫টি রুকনের অন্যতম একটি রুকন বা ভিত হলো এই মাহে রমজান বা সিয়াম।
এই বিষয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ইসলাম ৫টি স্তম্ভের উপর স্থাপিত: (১) সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল (২) রীতি মতো নামায আদায় করা (৩) যাকাত দেওয়া (৪) রমজানের রোযা পালন করা (৫) বায়তুল্লাহ্র হজ্জ পালন করা। (বুখারী ও মুসলিম)
# অপবিত্র অবস্থায় রোযার নিয়ত করা জায়েয তবে ফজর হলে গোসল করবে।
# কোনো মহিলা যদি রমাজানে ফজরের পূর্বে মাসিক ঋতু-স্রাব বা সন্তান প্রসব জনিত স্রাব হতে পবিত্র হয় তবে সে ফজরের পূর্বে গোসল না করলেও তার প্রতি রোযা রাখা ফরয, তারপর ফজরে গোসল করে নিবে।
# রোযা অবস্থায় দাঁত উঠানো, জখমে ঔষধ লাগানো চোখে বা কানে ঔষধের ফোটা নিক্ষেপ জায়েয, যদিও চোখে কিংবা কানে ফোঁটা প্রয়োগের কারণে গলায় ওষধের স্বাদ অনুভূত হয়।
# রোযা অবস্থায় দিনের প্রথমভাগে এবং শেষ ভাগে মিসওয়াক করা জায়েয, বরং অন্যের মতো তার জন্যেও এই অবস্থায় সুন্নাত।
# রোযাদার গরম ও পিপাসার তীব্রতা কমানোর জন্য পানি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কিংবা অন্য কিছুর মাধ্যমে ঠাণ্ডা গ্রহণ করা বৈধ।
# প্রেশার কিংবা অন্য কোনো কারণে শ্বাস কষ্ট হলে রোযা অবস্থায় মুখে স্প্রে করা জায়েয।
# রোযাদারের ঠোঁট শুকিয়ে গেলে পানি দ্বারা ভিজান ও মুখ শুকিয়ে গেলে গড় গড়া করা ছাড়া সাধারণ কুলি করা বৈধ।
# ফজরের সামান্য পূর্বে অর্থাৎ দেরি করে সেহরী খাওয়া ও সূর্যাস্তের পর (সময় হলে) তাড়াতাড়ি ইফ্তার করা সুন্নাত।
রোযাদার ইফ্তারের জন্য খেজুর, শুকনা খেজুর, পানি বা যে কোনো হালাল খাবার যথাক্রমে প্রথম থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রহণ করবেন। যদি ইফ্তারের জন্য কিছুই না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে কোনো খাবার পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মনে মনে ইফ্তারের নিয়ত করে নিবে।
# রোযাদারের উচিত সৎকর্ম বেশি বেশি করা ও সকল নিষিদ্ধ কাজ বা মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকা।
# রোযাদারের ফরয কাজসমূহ: নিয়মিত আঞ্জাম দেওয়া এবং সকল হারাম হতে দূরে থাকা একান্ত কর্তব্য; অতএব, ৫ ওয়াক্ত নামায সময় মতো আদায় করা এবং যদি সে জামায়াতে উক্ত নামায আদায়ের ওযর বিহীন লোক হয় তবে জামায়াতের সঙ্গে আদায় করবে এবং মিথ্যা কথা, পরনিন্দা, ধোঁকাবাজি, সুদী লেন-দেন করা এবং সকল হারাম কথা ও কাজ হতে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকবে।
‘আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা, অনুরূপ আচরণ এবং জাহেলিয়াত বর্জন না করে, তবে তার পানাহার বর্জনের আল্লাহর কোনই প্রয়োজন নেই।’ (বুখারী)
তাই আমাদের সকলের কাজ হবে এই পবিত্র রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করা। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের রমজানের পবিত্রতা রক্ষার তৌফিক দান করুণ- আমিন।
This post was last modified on জুন ৩, ২০১৮ 1:01 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঐক্য সম্মেলনে ইরানের জাতীয় সংগীতে দাঁড়ালেন না আফগান মন্ত্রী: কিন্তু…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলন্ত ট্রেনের পাদানিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক তরুণী। পাদানিতে দাঁড়িয়ে ট্রেনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ আশ্বিন ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গুণীজনরা বলে থাকেন, ছোট ছোট লক্ষ্য আপনাকে স্থির করতে। সেই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার ইসরায়েলে নতুন করে যুদ্ধাস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করলো জার্মানি। তথ্য…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস জানার…