দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেবল মেয়র পদেই নয়, বেশির ভাগ সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদেও ১৮-দলীয় জোট-সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচন এবার দেশের জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলছে।
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্থানীয় নির্বাচন হলেও এই নির্বাচন দেশের জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলছে- এমনটিই ধারণা করছেন দেশের রাজনীতি সচেতন মানুষ। চার সিটি নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেমন ছিল এখন দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ বিপরিত। কারণ ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগও ভাবেনি এমন ফলাফল আসবে। সবার ধারণা ছিল অন্তত দুটি আসন আওয়ামীলীগের থাকবে। কিন্তু সকলের সেই ধারণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সবকটি মেয়র পদই ১৮ দলীয় জোটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। আবার কাউন্সিলর পদেও একই ধরনের পরিস্থিতি বিরাজমান।
সামপ্রতিক সময়ে দেশের রাজনীতি এক ঘোলাটে অবস্থানে চলে আসে। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর জালাও-পোড়াও রাজনীতি এবং হেফাজতে ইসলামীর রাজনীতিকে প্রবেশ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এক নাজুক অবস্থানে চলে আসে। ৫ মে রাতের ‘শাপলা’ অভিযানের পর হেফাজতে ইসলামীকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করেছে বলেই বাস্তবে মনে হয়েছে। আসলে হেফাজতে ইসলামী কিছুটা দুর্বল হয়েছে। তবে তারা ভেতরে ভেতরে আবারও চাঙ্গা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর রাজনৈতিক বাজারে রয়েছে।
তবে পরিস্থিতি যেদিকেই থাকুক না কেনো চার সিটি নির্বাচনে সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। যদিও সরকার মুখে বলছে, গণতন্ত্রের ভিত মজবুত হয়েছে। এ সরকারের আমলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে তা সরকার প্রমাণ করেছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। বাস্তবে জনগণের মধ্যে সিটি নির্বাচন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিরোধী দল বরাবরই সরকারের দমন নীতির প্রতিবাদ করে আসছে। এবার তারা বলছে, ‘সরকারের দমন নীতি’র বহি:প্রকাশ ঘটেছে চার সিটি নির্বাচনে।’
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৬ পদের মধ্যে ৭৫টিতে জয়লাভ করেছে ১৮ দলীয় জোট। আওয়ামী লীগসহ ১৪-দলীয় জোট-সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন মাত্র ৩১টিতে। আর স্বতন্ত্র হিসেবে পরিচিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেন ১০টি পদে। সাধারণ নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ দল-সমর্থিতরা ১৮টি ও ১৪ দল-সমর্থিতরা ১৪টি ও স্বতন্ত্রে রয়েছে ৭টি পদ।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে বিএনপির ১৮, আওয়ামী লীগের ছয় ও স্বতন্ত্র হিসেবে চার ও জামায়াতের একজন জয়লাভ করেন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বুথের ইভিএম মেশিনে ত্রুটি থাকায় সেখানকার ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। আর নারী কাউন্সিলরে বিএনপির চার, আওয়ামী লীগের তিন, জামায়াতের দুই ও স্বতন্ত্র একজন বিজয়ী হন।
খুলনায় সাধারণ কাউন্সিলরে বিএনপির ১৮, আওয়ামী লীগের আট, স্বতন্ত্র চার ও জামায়াতের একজন জয় পেয়েছেন। নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন বিএনপির চার, আওয়ামী লীগের দুই, স্বতন্ত্র চার ও জামায়াতের দুজন।
বরিশালে সাধারণ কাউন্সিলর পদে বিএনপির ২০, আওয়ামী লীগের আট, জাপা ও জামায়াতের একজন করে জয় পেছেন। নারী কাউন্সিলরে রয়েছেন বিএনপির চার, আওয়ামী লীগের পাঁচ ও স্বতন্ত্রে একজন।
সিলেটে সাধারণ কাউন্সিলরে বিএনপির ১৩, আওয়ামী লীগের আট, জামায়াতের তিন ও স্বতন্ত্র হিসেবে দুজন জয় পেয়েছেন। একটি নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। নারী কাউন্সিলর পদে বিএনপির চার, আওয়ামী লীগের চার ও স্বতন্ত্র হিসেবে একজন জয়লাভ করেছেন।
এভাবে প্রতিটি সিটিতেই শুধু মেয়র পদই নয় কাউন্সিলর পদেও ১৮ দলীয় জোট এগিয়ে গেছেন। উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন এ চার সিটি করপোরেশনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
This post was last modified on জুন ১৭, ২০১৩ 2:37 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতে মধু মাখলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। যে কারণে এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসলে ২০২৫ সালের প্রযুক্তি–দুনিয়া কেমন যাবে, তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিল্মের মানুষদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে ২০২১ সালে সেন্সর বোর্ড থেকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের রাজধানী এনজামেনায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বোকো হারাম…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাতির পিঠে দড়ি দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে…