দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি পুরুষ মানুষের মুখে দাড়ি জন্মায়। কিন্তু নারীদের কখনও দাড়ি দেখা যায় না। কিন্তু স্বাভাবিক এই প্রক্রিয়ার অনেক সময়ই ব্যত্যয় ঘটে থাকে। যেমন ঘটেছে এক স্ত্রীর। আর ওই দাড়ি নিয়ে তার স্বামী মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনা হলো প্রথম বার দেখা মুখমন্ডল ছিলো মেকা-আপ করা, সে কারণে নিজের স্ত্রীকে ভালো করে দেখতে পারেননি তার স্বামী। বিয়ের প্রায় ১ সপ্তাহ পরে বুঝতে পারলেন ‘স্ত্রীর মুখে দাড়ি’ ও তার গলার স্বরও পুরুষের মতোই। এই অভিযোগ এনে আদালতে তালাকের আবেদন করেছেন ওই স্বামী। ভারতের আহমেদাবাদ শহরে ঘটেছে এমন একটি ঘটনা। ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমি যখন তাকে প্রথমবার দেখেছিলাম তখন তার মুখে মেক-আপ ছিল। তাছাড়া বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা আমার শ্বশুরবাড়িতে করা হয়। সে সময় নেকাব পরা থাকায় বিয়ের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ওই নারীর মুখ দেখতে পারেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আদালতে ওই ব্যক্তি আরও বলেন যে, ‘স্ত্রীর সঙ্গে সাত দিন থাকার পর কাজের কারণে শহরের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে। তবে কয়েকদিন পর বাড়িতে ফেরার পর তার মুখে দাড়ি লক্ষ্য করি। এমনকি তার গলার স্বরও পুরুষের মতোই উপলব্ধি করি।’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হরমোনজনিত সমস্যার কারণে তার গলার স্বর বদলে যাচ্ছে। তার মুখে দাড়ি বাড়ছে বলে আদালতে জানিয়েছেন ওই নারী। তবে এই সমস্যা সমাধানে চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে বলেও তিনি আদালতকে জানিয়েছেন।বিয়ের সময় স্বামীকে যৌতুক নেওয়ার অভিযোগ উল্লেখ করে ওই নারী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তার ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমাকে বাড়ি হতে বের করে দেওয়ার জন্য মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।’ এদিকে বিচ্ছেদের জন্য উপস্থাপিত অভিযোগগুলোও যথোপযোগী নয়- এমন মন্তব্য করে বিচারক তালাকের আবেদন বাতিল করে দেন। আদালতে বেশিরভাগ শুনানিতে উকিলসহ ওই নারীর স্বামী অনুপস্থিত ছিলেন বলেও এই সময় উল্লেখ করেছেন বিচারক।