দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ৩০ জুন ২০১৮ খৃস্টাব্দ, ১৬ আষাঢ় ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৩৯ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি সুনামগঞ্জের নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল বা হাওর। অসম্ভব সুন্দর একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য। অথৈই পানিতে ভরপুর এই বিল।
টাঙ্গুয়ার হাওর হলো সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা এবং তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। মেঘালয় পাহাড় হতে ৩০টিরও বেশি ঝরা (ঝরণা) এসে মিশেছে এই হাওরের সঙ্গে। দুই উপজেলার ১৮টি মৌজায় ৫১টি হাওরের সমন্বয়ে ৯,৭২৭ হেক্টর এলাকা নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর জেলার সবচেয়ে বড় জলাভূমি এটি।
পানিবহুল মূল হাওর ২৮ বর্গকিলোমিটার। আর বাকি অংশ গ্রামগঞ্জ ও কৃষিজমি। একসময় গাছ-মাছ-পাখি ও প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যের আধার ছিল এই হাওরটিতে। ১৯৯৯ সালে টাঙ্গুয়ার হাওরকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর তখনই অবসান হয় দীর্ঘ ৬০ বছরের ইজারাদারির।
২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি এই হাওরকে ‘রামসার স্থান’ (Ramsar site) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। হাওর এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন, সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকারের মধ্যে ২০০১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর থেকে হাওরের নিয়ন্ত্রণ নেয় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে এই হাওরটিতে। প্রতিদিন বহু পর্যটক আসেন এই হাওরে। নৌকা নিয়ে তারা ঘুরে-ফিরে দেখেন এখানকার পরিবেশ। তারা মুগ্ধ হন এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে।
ছবি ও তথ্য: http://liveexistencelivelihood.blogspot.com এর সৌজন্যে।