দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত শিশুরা স্কুল থেকে ফেরার পর বা যতক্ষণ বাসায় থাকে তারা কার্টুন দেখতে বেশি পছব্দ করে। আর আমরাও তাদের এই আবদারকে বাধা দিই না। কখনো কি ভেবে দেখেছেন এভাবে শুধু কার্টুন দেখলে কি আপনার সন্তানের মেধা বিকশিত হবে? তার কি সৃজনশীলতার জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে? অবশ্যই না।
আমাদের সকলের উচিৎ তাদেরকে কার্টুন দেখার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে সৃজনশীলতার প্রতি আগ্রহী করে তোলা। এখন হয়ত ভাবতে পারেন কিভাবে শিশুদের সৃজনশীল করে তুলবো? আমরা অনেক উপায়ে শিশুদের সৃজনশীল করে তুলতে পারি।
শিশুরা নতুনের প্রতি বেশি আগ্রহী, তাই মাঝে মাঝে দুরে না যেতে পারলেও আপনার আশেপাশের কিছু নতুন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যান। শিশুরা নতুন কিছু দেখতে এবং সেই সম্পর্কে জানতে পছন্দ করে। এই বেড়াতে যাওয়ার মাধ্যমেই তাদের মধ্যে নতুন সৃজনশীলতার জ্ঞান সৃষ্টি হবে। তারা দেশ, প্রকৃতি এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে।
বই হচ্ছে জ্ঞান অর্জনের মূল কাঁচামাল। বাসার পাঠাগারে শিশুদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। বই পড়ার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন লেখকদের নতুন নতুন কলা কৌশল জানতে পারবে এবং সেই ধারণার উপর ভিত্তি করে নিজেরা নরুন কিছু সৃষ্টি করার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে।
বেড়াতে গিয়ে তারা যা দেখেছে তার মধ্যে যেই জিনিসটি তাদের কাছে বেশি পছন্দ হয়েছে সেই জিনিসটির ছবি আঁকতে সাহায্য করুন। এতে তাদের মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া তাদের নিজেদের ইচ্ছে মত কিছু আঁকতে উৎসাহিত করুন। এতে তাদের মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
শিশুদের বিভিন্ন সৃজনশীল খেলনা কিনে দিতে পারেন। কারণ এই ধরণের খেলনা দিয়ে শিশুরা ভিন্ন ভিন্ন আকৃতির জিনিস তৈরি করতে পারে। এর ফলে তাদের মেধা বিকশিত হবে।
শিশুদের অনলাইন জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করুন। অনলাইনে এমন অনেক সাইট রয়েছে যা নতুন নতুন কিছু আবিষ্কার এবং সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে গবেষণা ও জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া অনলাইন সম্পর্কে শৈশব থেকেই দক্ষতা অর্জন করলে তাদের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি করার আগ্রহ বেড়ে যাবে।
পৃথিবীতে প্রতিনিয়তই নতুন কিছু ঘটছে। প্রতিটা দিনই বিশেষ। এই যেমন ১লা মে শ্রম দিবস, ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ইত্যাদি। মাসের প্রতিটি ছুটি এবং বিশেষ দিবস সম্পর্কে শিশুদের জানতে সাহায্য করুন এবং সেই বিশেষ দিনগুলোর ইতিহাস জানতে সাহায্য করুন।
সব শিশুর পছন্দ এক রকম নই। কেউ ছবি আঁকতে ভালবাসে আবার কেউ গান গাইতে বা নাচতে ভালবাসে। এমন অনেক শিশুকে দেখা যায় যারা তাদের খেলনাকে বার খুলে আবার সেট করতে পছন্দ করে। তাদের এই শখ গুলোকেই ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগান।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খেয়াল রাখবেন শিশুরা যেন এই সমস্ত কাজের প্রতি বেশি আগ্রহী হওয়ায় লেখাপড়ার কোন ক্ষতি না হয়। লেখাপড়া ঠিক রেখে তার পাশাপাশি এইগুলো করতে উৎসাহী করে তুলুন।
This post was last modified on আগস্ট ১৪, ২০১৮ 4:23 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের প্রায় সময় দেখা যায় কাঁধে ব্যথা হচ্ছে। কাঁধে ব্যথা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদ-উল-ফিতর ২০২৫ উপলক্ষে এনটিভি'র ৭ দিন ব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানসূচী। আজ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) পবিত্র ঈদ-উল- ফিতর। মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবের একটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৭ চৈত্র ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমের এই সময় সজনে ডাঁটা পাওয়া যায় বাজারে। কচি-সবুজ ডাঁটাগুলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদ-উল-ফিতর ২০২৫ উপলক্ষে এনটিভি প্রতি বছরের মতো এবারও ৭ দিনব্যাপী…