দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রস্তুতি দূর্বলতার কারণে ২০১৪ সালের অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপ টি২০ এর আয়োজক তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে বাংলাদেশের নাম! ধারণা করা হচ্ছে বিকল্প নামটি হতে পারে শ্রীলঙ্কা অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা। এবিষয়ে যদিও এখনও কোনো অফিসিয়ালি সিদ্ধান্ত দেয়নি আইসিসি তবে জোর গুঞ্জন ঠিকই রটে গেছে। আগামী সপ্তাহে লণ্ডনে শুরু হতে যাওয়া ICC AGM সম্মেলনে এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান প্রস্তুতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
আগামী বছরের ১৬ মার্চ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পুরুষ এবং মহিলা টি২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের ৪টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবার কথা। এরমাঝে মিরপুর এবং চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামের প্রস্তুতি পুরোপুরি থাকলেও বাদ সেধেছে সিলেট এবং কক্সবাজারে নির্মানাধীন নতুন দুটি স্টেডিয়াম নিয়ে। সিলেটের স্টেডিয়ামের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি, অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের স্টেডিয়ামটির বেশীরভাগ কাজ এখনও অসম্পূর্ণ!
এরমধ্যে সিলেট স্টেডিয়ামের কাজ জুনের ৭ তারিখ থেকে আবার পুরোদমে শুরু হয়েছে, আশা করা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরের ভেতর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। অক্টোবর মাসে নিউজল্যান্ড যখন বাংলাদেশ সফরে আসবে তখন সেখানে কিছু ওডিআই ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনাও আছে বিসিবি’র। আগামীবার যখন আইসিসি পরিদর্শক দল আসবে তাদের সন্তুষ্ট করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
এদিকে জাতীয় স্পোর্টস কাউন্সিল বলছে কক্সবাজার স্টেডিয়ামের সব কাজকর্ম শেষ হতে হতে নভেম্বর লেগে যেতে পারে। তবে এই স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডের কাজ শেষ হতে হতে বিশ্বকাপ লেগে যাতে পারে বলেছে তারা। উল্লেখ্য, কক্সবাজারের স্টেডিয়ামটি আগে ব্যবহৃত হতো গলফ খেলার মাঠ হিসেবে।
বাংলাদেশের এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের চীফ এক্সিকিউটিভ অ্যাশলে ডি সিলভা আইসিসিকে নিজের দেশে টি২০ আয়োজনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যদি আইসিসি শ্রীলঙ্কার এ প্রস্তাব গ্রহণ করে তাহলে মাত্র ১৮ মাসের ভেতর শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজন করবে! গত অক্টোবরে তারা সর্বশেষ টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজক ছিলো।
ডি সিলভা বলেছেন, এবিষয়ে শ্রীলঙ্কা আইসিসিকে শুধুই অবহিত করেছে, আইসিসি এ নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি। আগামী সপ্তাহের সম্মেলনেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে, আসলে কি হতে যাচ্ছে, এবং কি হবে! এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাও আইসিসিকে নিজেদের দেশের ব্যাপারে অবহিত করেছে তারাও স্বল্প সময়ে প্রস্তুতি নিয়ে নিতে পারবে!
এদিকে সামনেই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন ২০১৪। নির্বাচন উপলক্ষ্যে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও বিবেচনায় আনছে আইসিসি। সবকিছু আমলে নিয়ে যদি বাংলাদেশে টি২০ টূর্ণামেন্ট শুরু হয়েই যায় তবে আইসিসি’র পক্ষে এটি হবে বাংলাদেশে চতুর্থ কোনো বৈশ্বিক টূর্নামেন্টের আয়োজন। এর আগে ১৯৯৮ সালে আইসিসি নকআউট কাপ, ২০০৪ সালে অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট, ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সহ-আয়োজক ছিলো বাংলাদেশ।
সভাপতি নাজমুল হাসান এবং বোর্ড সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরি এখন নিজেদের দেশের এই টূর্ণামেন্ট ধরে রাখতে পারবেন কীনা এটাই দেখার বিষয়। এ কথা বলা বাহুল্য যে বাংলাদেশের ক্রীড়ামোদিদের জন্য যেকোনো বৈশ্বিক টূর্ণামেন্ট খুবই উপভোগ্য, বিশেষ করে যখন ক্রিকেট এদেশের কোটি মানুষের প্রাণের খেলা!
তথ্যসূত্রঃ ক্রিকইনফো
This post was last modified on জুন ২৪, ২০১৩ 11:30 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসলামিক সঙ্গীত জগতে এক নয়াদিগন্তের সূচনা করলেন হোসাইন নূর। তার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দু’টি কচ্ছপ নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছেন এক তরুণী। কচ্ছপ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৭ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিটনেস প্রশিক্ষকরা বলেছেন, হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো, জগিং, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় একযুগেরও বেশি সময় পর মৌলিক গান নিয়ে মিউজিক ডোমেইনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের…