দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শয়তানের চিঠির কথা অবশ্য আগে কখনও আমরা শুনিনি। তবে এবার সত্যিই এমন একটি শয়তানের চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। ইতালির লুদার সাইন্স সেন্টারের গবেষকরা এ তথ্য দিয়েছেন।
সম্প্রতি মিররে প্রকাশিত একটি চিঠি নিয়ে দুনিয়া জোড়া হৈ চৈ পড়ে গেছে। এক খবরে বলা হয়েছে ৩০০ বছর পর শয়তানের চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে!
বলা হয়েছে, ইতালির সন্নাসিনী মারিয়া কোসিফিস্স ডেলার ওপর নাকি কোনো এক সময় শয়তান ভর করেছিল। ওই সময় নাকি শয়তান তাকে দিয়ে একটি চিঠিও লিখিয়েছিলেন!
এই ঘটনা নাকি ঘটেছে ১৬৭৬ সালে। তবে শোনা যায় যে, সারারাত ধরে সেই চিঠি লেখার সময় চিৎকার করেছিলেন ডেল। তিনি নাকি বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন। ওই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর।
ইতালির লুদার সাইন্স সেন্টারের গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার পর অবশেষে ওই চিঠির অর্থ খুঁজে পেয়েছেন। ওই চিঠির অর্থ খুঁজে পেতে তাদের সময় লেগেছে ৩শ বছর!
গবেষকরা সাংকেতিক ভাষায় লেখা ওই চিঠির কিছু অংশের অর্থ বের করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
বলা হয়েছে যে, ওই চিঠিতে গ্রিক, আরবি, লাতিন ভাষার বর্ণ ব্যবহৃত হয়েছে। ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে যে, সৃষ্টিকর্তা ভাবেন তিনি মানুষকে মুক্তি দিতে পারেন। তবে এই ব্যবস্থা কারও ক্ষেত্রেই কাজ করে না।
তবে লুদার সাইন্স সেন্টারের পরিচালক এই চিঠির সত্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, সম্ভবত ওই সন্নাসিনী সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগতেন। বিভিন্ন ভাষার ওপর নিশ্চয়ই তার ভালো দখল ছিল। সে কারণেই তার দ্বারা এমন একটি চিঠি লেখা সম্ভব হয়েছে। যে কারণে ওই চিঠির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন জাগায় স্বাভাবিক বলে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।