দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই এখনো অনেক পুরনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করি। বর্তমানে বিভিন্ন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সফটওয়্যার এই পুরনো কম্পিউটারে ঠিক মত কাজ করে না। যদিও কাজ করে তবুও অনেক ধীর গতিতে তা সম্পাদন করে থাকে। এমন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করায় কম্পিউটারের সমস্ত কাজই স্লো হয়ে যায়।
কারণ পুরনো কপিউটারের র্যাম, রম এবং প্রসেসর খুবই কম থাকে যা বর্তমানের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সফটওয়ায়রের জন্য উপযুক্ত নয়। তবে নানা কারনে আমাদের এই পুরনো কম্পিউটারেই এই সকল সফটয়্যারের কাজ করতে হয়। আর এভাবে স্লো মুডে কাজ করতে করতে আমরা অনেকেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এইভাবে স্লো মুডে কাজ করতে করতে আপনি নিজেও যে অনেকটা স্লো হয়ে গেছেন যা আপনার অনেকটা সময় নষ্ট করে দিচ্ছে।
আজ আমরা জানবো পুরনো কম্পিউটারকে কিভাবে ফাস্ট করা যায়। মাত্র কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করেই আপনি পুরনো কম্পিউটারকে অনেকটা ফাস্ট করতে পারবেন।
অনেকদিন ধরে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ঠিকমত পরিষ্কার না করায় এর কুলারের মধ্যে ময়লা জমে যায়। এর ফলে কুলার ঠিক মত সিপিইউকে ঠান্ডা করতে পারে না যা কম্পিউটার হিট হয়ে যাওয়া এবং ধীর গতিতে চলার অন্যতম কারণ। তাই এমন সমস্যা দেখা দিলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ খুলে কুলার পরিষ্কার করতে পারেন। এ ছাড়াও ওই ফ্যানের নীচে আর সিপিইউ-এর মাঝে একটা পাতলা থার্মাল পেস্টের লেয়ার থাকে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটাও কিছুটা শুকিয়ে আসে। ফলে সিপিইউ থেকে তাপ কুলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। পরিষ্কার করে কোন কাজ না হলে সেই লেয়ার পরিবর্তন করে দিন। তাহলে হিট হবে না এবং কম্পিউটার ফাস্ট হবে।
কম্পিউটার চালু হতেই অনেক সময় নিচ্ছে এবং কোন ফাইল খুলতে গেলেও অনেক সময় নিচ্ছে? এমন সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে হার্ড ডিস্কের আরপিএম স্পীড। আপনার হার্ড ডিস্কের আরপিএম স্পীড যদি ৭২০০ আরপিএম হওয়া সত্বেও কম্পিউটার স্লো কাজ করছে এবং সব ফাইল দেরিতে খুলছে। তাহলে আপনি সেটাকে ডিফ্র্যাগ করুন। তাহলে সব ফাইল হার্ডডিস্কের মধ্যে এলোমেলো ভাবে না থেকে একটি নির্দিষ্ট স্থান জুড়ে থাকবে। ফলে দ্রুত ফাইল খুঁজতে সাহায্য করবে।
অনেক সময় কম্পিউটার চালুর সাথে সাথেই আপনার কম্পিউটারে কিছু অ্যাপস কাজ করতে শুরু করে দেয়। ফলে অন্য একটি কাজ করতে গেলে র্যামের উপর বেশি চাপ পরে। যার ফলে আপনার কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়। তাই টাস্ক ম্যানেজার থেকে দেখুন স্টার্ট আপে কী কী সফটওয়্যার চালু হচ্ছে । আপনার অপ্রয়োজনীয় কোন সফটওয়্যার স্টার্ট আপে চালু হলে তা সেখান থেকে বন্ধ করে দিন। এবং লক্ষ্য করুন আপনার কম্পিউটারের কোন কোন সফটওয়্যার অটো আপডেট নিচ্ছে। সেইগুলো বন্ধ করে দিন। প্রয়োজন হলে আপনি মেনুয়াল ভাবে আপডেট করে নিবেন।
কম্পিউটারের ক্যাশ মেমরি, জাঙ্ক ফাইল, টেম্প ফাইল ক্লিয়ার করার জন্য সি ক্লিনার অনেক ভাল কাজ করে। যা আপনার কম্পিউটারকে অনেক ফাস্ট করবে। এই সফটয়্যারটি ফ্রিতে পাওয়া যায়। তাই ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।
প্রয়োজনীয় আপডেট:
আপনার যে সফটয়্যারগুলো বেশি প্রয়োজন হয় তা আপডেট চাইলে আপডেট দিয়ে নিন। তাহলে দ্রুত কাজ করবে। অন্যথায় স্লো কাজ করতেই পারে। কোন সমস্যা সমাধান বা নতুন কিছু যোগ করার জন্যই মূলত আপডেট দিতে বলে তাই সময় মত আপডেট দিন। তবে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আপডেট দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
This post was last modified on জুন ২১, ২০২০ 9:52 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার কঠোর নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…