দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ ভারতের উত্তরাখণ্ডে বন্যা ও ভূমিধসে আটকাপড়াদের উদ্ধার করতে যাওয়া বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ২০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের ৫জন বিমান বাহিনীর সদস্য ও বাকি ১৫ জন বোমরিক নাগরিক বলে জানা গেছে।
বুধবার স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে ভারতীয় মিডিয়া জানায়, “ভারতীয় বিমানবাহিনীর এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারটি বন্যার্তদের জন্য ঔষধ ও খাবার নিয়ে কেদারনাথ যাচ্ছিল। এসময় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হলে হেলিকপ্টারের সকল যাত্রী নিহত হন।“
সিএনএন সূত্রে জানা যায় নিহতের সংখ্যা ১৭ এবং হেলিকপ্টারটি প্রায় ২০০০ হাজার বন্যা দুর্গতকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করার পর ফেরত জাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এখন পর্যন্ত ১৫ জন নিখোঁজ আছে।
এদিকে, ভারতের উত্তরাখণ্ডের বন্যা পরিস্থিতি ক্রম অবনতি হচ্ছে। সোমাবর ভারতের আবহাওয়া দফতর জানায়, আগামী ৭২ ঘণ্টা টানা বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে করে আটকাপড়া ছয় হাজার জনের জীবন নিয়ে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে উত্তরাখণ্ডের বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ভয়াবহ এ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। এর আগে অবশ্য উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়কমন্ত্রী আশঙ্কা করে বলেছিলেন, মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এখনও উত্তরাখণ্ডের বন্যা দুর্গত এলাকায় হাজার হাজার মানুশ আটকা পড়ে আছে। এসব আটকা পড়া মানুষজনকে উদ্ধারের জন্য বিমানবাহিনীর ৬০টি হেলিকপ্টার নিয়োজিত রয়েছে বলে জানা যায়। তবে ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধান জানিয়েছেন, শেষ ব্যক্তিকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত তাদের উদ্ধারকাজ চলবে।
এদিকে ভারতের প্রধান মন্ত্রী মনমোহন সিং শোক জানিয়ে বলেন, “এ দুর্ঘটনায় আমি গভীর ভাবে মর্মাহত।“