দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ খৃস্টাব্দ, ১৪ কার্ত্তিক ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, ১৯ সফর ১৪৪০ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
দক্ষিণ কোরিয়ার গাইংহওয়ার এই রেলওয়ে স্টেশনের রেলপথটি মূলত চেরি ফুলের জন্য বিখ্যাত। এই স্টেশনের উত্তরে সিওংজুসা স্টেশন ও দক্ষিণে অবস্থিত জিনহে স্টেশন। এই রেলপথের দুপাশে রয়েছে সারি সারি চেরি ফুলের গাছ।
এই রেলপথ ধরে যখন কেও হাঁটবে, মনে হবে যেনো চেরি ফুলের সুড়ঙ্গ দিয়েই হাঁটছে। ২০০৬ সাল হতে গাইংহওয়া স্টেশনের ভেতর ও বাইরের রেল পরিষেবা বন্ধ করা হয়। তবে এই স্থানের সুদৃশ্য চেরি ফুলের জন্য জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণ হিসেবে স্টেশনটি আবারও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
এই স্থানটিতে প্রায়ই কোরিয়ান চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণ করা হয়ে থাকে। কোরিয়ান জনপ্রিয় অনেক চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণ এই স্থানেই হয়েছে। যেমন “বয়েজ গস টু হেভেন” (২০০৫) ও নাটক “স্প্রিং ওয়াল্টজ (২০০৬)”।
দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রতিবছর “জিনহাই গুনহাং” নামক উৎসবের সময়, গাইংহওয়া রেলস্টেশন হতে “চেরি ফুলের উৎসব (cherry blossom festival shuttle train)” নামক একটি শাটল ট্রেন যাত্রা শুরু করে থাকে, পর্যটকদের চেরি ফুলের দৃশ্য উপভোগ করার জন্যই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে এই শাটল ট্রেনে উন্নতমানের কামরা ও বাথরুম সংযোজন করা হয়েছে, যাতে করে ট্রেনের যাত্রীরা আরামপ্রদভাবে চেরি ফুলের দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। শীতকালে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে বলে জানা যায়। চেরি ফুলের পাশাপাশি, চারদিকের তুষারপাতও এক মনোরম দৃশ্য তৈরি করে, যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
ছবি ও তথ্য: http://itibritto.com এর সৌজন্যে।