দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত প্রত্যেকের বাড়িতেই সকালবেলা খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিকে কাটে। তার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হওয়া, বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানোর জন্য প্রস্থুত করা, সবার জন্য সকালের নাস্তা তৈরি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রায় সকলেই সকালে খুব ব্যস্ত থাকে।
এই ব্যস্ততার কারণে দেখা যায় অনেক সময় অফিসে দেরি হয়ে গেছে, অথবা বাচ্চার স্কুলে পৌছাতে দেরি হবে এমন সমস্যার কারণে নাস্তা না করেই বের হয়ে পরতে হয়। তবে এই ব্যস্ততা আমাদের নিজেদের কিছু ভুলের কারনে আরো বেশি সমস্যা সৃষ্টি করে। যার কারণে সারাটা দিন আমাদের বিভিন্ন ব্যস্ততা এবং অবসাদের মধ্য দিয়ে কাটে। আজ আমরা জানবো যে কাজগুলো আমাদের দিনের শুরুটা ভাল রাখতে সাহায্য করে।
ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে উঠার একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করা উচিৎ। কারণ বেশি ঘুমানো এবং কম ঘুমানো উভয়ই আমাদের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। সেই সাথে বেশি ঘুমানোর কারণে আমাদের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। আর সময় মত ঘুম থেকে না উঠার কারণেই প্রতিদন সকালে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তাই প্রতিদিন সকালে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন। এর ফলে আপনি সকালের অন্যান্য কাজগুলো করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন।
সকালে ব্যস্ততার মাঝে নির্দিষ্ট জিনিস নির্দিষ্ট জায়গায় না পেলে মেজাজ আরো গরম হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে যে বাড়িতে একাধিক সদস্য রয়েছে এবং একটি জিনিস অনেকজন ব্যবহার করেন সেই বাড়িতে এমন সমস্যা বেশি হয়। ধরুন আপনি রাতে চিন্তা করেছেন সকালে শার্ট ইস্ত্রি করে গায়ে দিয়ে অফিসে যাবেন। ইস্ত্রিও আপনার রুমেই ছিল। কিন্তু রাতেই আপনার ছোট ভাই তার কিছু শার্ট ইস্ত্রি করে সেটি নিজের রুমেই রেখে দিয়েছে এবং এখনো রুম লক করে ঘুমাচ্ছে। এখন সকালে উঠে শার্ট ইস্ত্রি করতে গিয়ে দেখছেন জায়গামত ইস্ত্রি নেই। তখন মেজাজ এমনিতেই আরো খারাপ হয়ে যাবে। তাই সবাইকে বলে প্রয়োজনীয় জিনিস নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সকালে করতে হবে এমন কিছু কাজ যা আগে করলে সমস্যা হবে না, এমন কাজগুলো রাতেই গুছিয়ে রাখুন। যেমন আপনার অফিসের পোশাক এবং ব্যাগ, বাচ্চাদের স্কল ড্রেস এবং ব্যাগ, সকালে নাস্তা তৈরির নানা উপকরণ ইত্যাদি জিনিসগুলো রাতেই গুছিয়ে রাখুন। তাহলে সকালে উঠে সব কিছু সময় মত হাতের কাছেই পাবেন।
সকালে একাধিক কাজ সামনে থাকলে কোনটা রেখে কোনটা করবেন তা বুঝে উঠা খুব কঠিন হয়ে ওঠে, যা আপনার মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি করে। তাই সকালে কোন কাজটি করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা রাতেই ঠিক করে রখুন। তাহলে সকালে আপনাকে প্রেসার নিতে হবে না এবং কোন কাজটি করবেন তা চিন্তাও করতে হবে না।
সকালে আপনার প্রিয়জনদের সাথে একটু ভাল করে কথা বলুন। কখনো সকালে রেগে যাবেন না। সকালে রেগে যাওয়া সারাটাদিন আপনার খারাপ থাকার জন্য যথেষ্ট। তাই কোন ক্রমেই সকালে রেগে না গিয়ে প্রিয়জনদের সাথে একটু ভাল করে কথা বলে দিনটি শুরু করুন।
This post was last modified on নভেম্বর ১৮, ২০১৮ 1:53 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…