দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হোটেল কতো রকম হতে পারে? বিভিন্ন রকম হতে পারে হোটেল। কিন্তু তাই বলে পাখির বাসার মতো হোটেল! ঠিক তাই, আজ রয়েছে এমন এক পাখির বাসার মতো হোটেলের গল্প!
পাখির মতো করে উড়তে চান অনেকেই। পাখি যেমন ডানা মেলে আকাশে উড়ে বেড়ায় ঠিক সেভাবেই উড়তে ইচ্ছে করে অনেকেই। মাঝে-মধ্যেই মন বলে পাখির মতো উড়তে। কিন্তু সেই ওড়া কারও পক্ষেই হয়ে ওঠে না কখনও। অর্থাৎ বাস্তবে তা ঘটে না। তবে এবার পাখির বাসার মতো বাসায় থাকার ইচ্ছেটা হয়তো কারও কারও পক্ষে সফল করা সম্ভব! আপনি বসবাস শুরু করে দিতে পারেন একটি পাখির বাসায়। তখন কেমন হবে আপনার অনুভতি? আপনি চাইলেই এমন অনুভতি নিতে পারেন। পাখির বাসার আদলে গড়ে তোলা হয়েছে বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেল! এমন কিছু বিলাস বহুল পাখির বাসার সন্ধান মিলেছে কেনিয়ার লাইকিপিয়া মালভূমিতে!
দেখতে হুবহু পাখির বাসার মতো হলেও এটি আসলে মানুষের বাসা। অর্থাৎ পাঁচ তারকা হোটেলের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে পাখির বাসার আদলে গড়ে তোলা এই হোটেলে। এই বিশেষ আকৃতির হোটেলটি বানানো হয়েছে কেনিয়ার উত্তরাঞ্চলের লাইকিপিয়া মালভূমির সাফারি পার্কে পর্যটকদের জন্য। পর্যটকরা ইচ্ছে করলেই এখানে রাত কাটাতে পারেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ে প্রাপ্ত গাছের ডাল ও কৃষি উপকরণ দিয়ে এই হোটেলটি এমনভাবে বানানো হয়েছে যেনো সাফারি পার্কে ভ্রমণরত পর্যটকরা পাখির মতো করে উঁচুতে বসে চারপাশের হাতি, জিরাফ ও অন্যান্য পশুপাখির বিচরণ অনায়াসে দেখতে পারেন।
পরিবারের চার জন থাকার জন্য বাসাগুলোতে রয়েছে সংযুক্ত বাথরুম, গরম বা ঠাণ্ডা পানির সুবিধা, সৌর বিদ্যুৎ, শ্যাম্পেইনসহ পর্যটকদের পছন্দসই নানা পদের খাবারের ব্যবস্থাও। ইতিমধ্যেই এই হোটেলে থাকার জন্য পর্যটকদের মধ্যে বেশ আগ্রহও দেখে দিয়েছে।
এই বিলাস বহুল এই পাখির বাসায় আপনাকে রাত কাটাতে হতে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে। প্রতি রাতের জন্য প্রতিটি বাসার ভাড়া ৮৭২ পাউন্ড যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় পঁচানব্বই হাজার টাকার মতো! যাদের অর্থের কোনে অভাব নেই তারা অনায়াসে এই পাখির বাসায় গিয়ে রাত্রি যাপন করতে পারেন। তাহলে আর দেরি কেনো? আজই চলে যান কেনিয়ার লাইকিপিয়া মালভূমিতে!