দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পানির নিচে ট্রেন- সত্যিই এক অন্যরকম ভ্রমণ কাহিনী। পানির নিচ দিয়ে যদি ট্রেন চলে তাহলে সেই ট্রেনে ভ্রমণ ভ্রমণপিপাসুদের কতোটা আনন্দ দেবে একবার ভাবুন!
পানির নিচে ট্রেন- সত্যিই এক অন্যরকম ভ্রমণ কাহিনী। পানির নিচ দিয়ে যদি ট্রেন চলে তাহলে সেই ট্রেনে ভ্রমণ ভ্রমণপিপাসুদের কতোটা আনন্দ দেবে একবার ভাবুন! এমন ভাবনা সত্যিই বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে এবার সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করে সাড়া ফেলে দিয়েছে। এবার পানির নিচে দুই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ তৈরির পরিকল্পনা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত! এই ডুবো রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পূর্ব উপকূলীয় সাম্রাজ্য ফুজেরাহ শহর হতে ভারতের মুম্বাইয়ে যাতায়াত করা যাবে!
আবুধাবিতে আয়োজিত সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারতের মধ্যকার সম্মেলনে ডুবো রেলপথ নির্মাণের বিষয়টি সামনে উঠে এসেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল অ্যাডভাইজর ব্যুরো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান উপদেষ্টা আবদুল্লা আলজেহাই জানিয়েছেন, দ্রুতগতির এই ডুবো ট্রেনের মাধ্যমে ফুজেরাহ শহর এবং মুম্বাইকে সংযুক্ত করার ভাবনা এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করাই হলো এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিকট হতে তেল পাবে ভারত। একইসঙ্গে নর্মদা নদীর অতিরিক্ত বিশুদ্ধ পানি পাইপলাইনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রফতানির সুযোগও সৃষ্টি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ভবিষ্যতে দুই দেশের অন্যান্য আমদানি-রফতানির পথকেও গতিশীল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আবদুল্লা আলজেহাই আরও উল্লেখ করেছেন, এই ভাবনা বাস্তবায়নের জন্য অবশ্যই আরও অনেক সময় প্রয়োজন। কারণ হলো অনেক বুঝে শুনে এই কাজটি করতে হবে। এই প্রকল্পে হাত দেওয়ার পূর্বে বিভিন্ন দেশ এবং শহরের সম্ভাব্যতা গবেষণাও করতে চান তারা।
প্রকাশিত খবরে জানা যায়, চীনও এমন ডুবো রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে পানির নিচে রেলপথের মাধ্যমে রাশিয়া, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে চান চীনারাও।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মধ্যে ভারতের মুম্বাই এবং আহমেদাবাদে দ্রুতগতির রেল সংযোগ চালু হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে।