দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহিলাদের কথা তিনি শুনতে পান কিন্তু পুরুষদের কথা শুনতে পান না! এমন কিছু আবার হতে পারে নাকি! অবাস্তব মনে হলেও শুধুমাত্র পুরুষের কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছেন না জনৈক মহিলা!
মহিলাদের কথা তিনি শুনতে পান কিন্তু পুরুষদের কথা শুনতে পান না! এমন কিছু আবার হতে পারে নাকি! অবাস্তব মনে হলেও শুধুমাত্র পুরুষের কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছেন না জনৈক মহিলা!
ঘটনাটি এমন। তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন। আর সকালে ঘুম হতে উঠে সব শব্দই তার কানে আসছিল, তবে তার বয়ফ্রেন্ডের কণ্ঠস্বর তিনি যেনো কিছুতেই শুনতে পাচ্ছিলেন না। আপাতত এই বিরল অসুখের কারণেই সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছেন চীনের এক মহিলা।
বিজ্ঞান বিষয়ক গণমাধ্যম ‘লাইভসায়েন্স’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন হতে জানা যায়, মিস চেন নামের ওই মহিলা তার এই বিচিত্র সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন। চেন চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, আগের রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার সময় তিনি কানে রিংগিং-এর মতো শব্দ শুনছিলেন, তখন তার বমি বমি লাগছিলো।
হাসপাতালে আসার পর চেনকে পরীক্ষা করেন লিন জিয়াওকিং নামে এক মহিলা চিকিৎসক। হাসপাতালে পরীক্ষার সময় দেখা গেলো যে, চেন ডা. লিন জিয়াওকিং এর কণ্ঠ ভালোভাবেই শুনতে পেলেও নিকটবর্তী এক পুরুষ রোগীর কণ্ঠ একেবারেই শুনতে পাচ্ছেন না।
এই বিষয়ে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, এটা খুবই বিরল এক ‘লো ফ্রিকোয়েন্সি হিয়ারিং লস’-এর ঘটনা বা একটি রোগ। চেন শুধুমাত্র ভরাট পুরুষ কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছেন না। যেহেতু মহিলাদের কণ্ঠ চিকন অর্থাৎ ভরাট নয়, তাই চেন শুনতে পাচ্ছেন।
চিকিৎসকরা বলেছেন যে, কানের ভিতরে থাকা খুব ছোট ছোট লোমের কারণেই মানুষ শব্দ শুনতে পায়। বয়সেক সঙ্গে সঙ্গে এই লোমগুলিও লোপ পেতে থাকে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন বিভিন্ন তরঙ্গের শব্দ শোনার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। চেনের ক্ষেত্রে তেমন কিছু ঘটে থাকতে পারে বলে চিকিৎসকরা আশংকা করছেন।
চেনের এমন একটি ব্যতিক্রমি রোগ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরাও। তারা এই বিষয়ে নানা গবেষণা চালাচ্ছেন। এমন একটি বিরল রোগের কিভাবে হতে পারে না এর সমাধানই বা কি সে বিষয়গুলো গবেষকরা দেখার চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে।