দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিপদ আপদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বস্তু হচ্ছে টাকা। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই আপনার টাকার প্রয়োজন। তবে হিসাব করে টাকা খরচ না করলে কোনভাবেই আপনি টাকা জমাতে পারবেন না। অর্থনীতির ভাষায় টাকাকে বলা হয় তরল সম্পদ। অর্থাৎ যেদিকে একটু কাত হবে সেই দিকেই গড়ে পড়বে। তবে এই গড়ে পড়াটা যেন সঞ্চয়ের দিকে হয়, সেই বিষয় নিয়েই আজ আমরা আলোচনা করব।
তাহলে চলুন কিছু সহজ এবং কার্যকরি টাকা জমানোর টিপস জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমেই আপনাকে প্রতিদিনের জন্য একটি খরচ বরাদ্দ করতে হবে। তারপর সেই পরিমাণ অর্থ হতেই দৈনিক খরচ করার অভ্যাস করতে হবে। এখন আপনি হয়ত ভাবছেন এখান থেকে অর্থ কিভাবে সঞ্চয় করবেন? ধরুন আপনার দৈনিক ১০০ টাকা খরচ হয়। এখন দিন শেষে আপনি দেখেবেন আপনার ওই খরচের মধ্য থেকে কি পরিমাণ অর্থ বেচে গেছে। এখন ওই বেচে যাওয়া অর্থ প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করতে থাকুন। মাস শেষে দেখবেন একটি বড় ধরণের অর্থ জমা হয়ে গেছে।
সর্বদা চেষ্টা করুন নগদ অর্থ দিয়ে কোন দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করার। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোন পণ্য ক্রয় করলে আপনাকে অতিরিক্ত চার্জ কাটবে। তার থেকে নগদে পণ্য ক্রয় করলে সেই অর্থটা সঞ্চয় হবে। তাই নগদে পণ্য ক্রয় করায় উত্তম।
অনেকেই দুপুরের খাবার বাইরের কোন হোটেলে খেয়ে নেন। তবে কোন হোটেলে খেতে গেলে কমপক্ষে ১০০ টাকা খরচ হয়। বরং বাসা থেকে আপনি যদি খাবার নিয়ে যান সেক্ষেত্রে আপনার মাসে অনেক টাকা সঞ্চয় করা সম্ভব।
অনেক সময় আপনি হয়ত ভাবছেন, আগামী মাসে একটি ভাল মোবাইল কিনবেন বা একটি আসবাবপত্র কিনবেন। এক্ষেত্রে হঠাৎ করেই যদি কোন ভাল অফার পেয়ে যান বা যখন কিনতে চাচ্ছেন তার কিছুদিন পর কোন অফার পেতে পারেন, তবে সেই অফার গ্রহণ করুন। এতে আপনার একটি নির্দিষ্ট অর্থ বেচে যাবে, যা সঞ্চয় হিসেবে জমাতে পারবেন।
অনেক সময় জমানো অর্থ কাছে থাকলে কোন প্রয়োজনে তা আবার খরচ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনি মাস শেষে জমানো অর্থ বিদেশী মুদ্রায় (বিশেষ করে ডলারে) কনভার্ট করে রাখুন। তাহলে সাধারণ প্রয়োজনে চাইলেও এই অর্থ খরচ করতে পারবেন না। ফলে বছর শেষে একটি মোটা অংকের টাকা জমা থাকবে। তবে এক্ষেত্রে আবার যেকোন সময় ওই অর্থ ভাঙ্গাতে যাবেন না। তাহলে আবার চার্জ কেটে আপনার অর্থ কমে যাবে। তাই যখন দেখবেন মুদ্রার দাম বেড়েছে, তখন ভাঙ্গাতে পারেন। এতে আরো কিছু মুনাফাও হবে।
আমরা সাধারণত বিলাসবহুল জিনিসের প্রতি বেশি আগ্রহী। অর্থ সঞ্চয় করতে হলে আপনাকে কিছুটা বিলাসীতা কমাতে হবে। যেমন আপনি হয়ত দামী কোন রেষ্টুরেন্ট ছাড়া খেতে পছন্দ করেন না। কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময় এসি গাড়ি বা ট্রেনের ভিআইপি সিট বা কোথাও থাকার জন্য ব্যয়বহুল রুম বুকিং দেন। অথচ ইচ্ছে করলেই একটু নরলাম গাড়ি, ট্রেনের সিট এবং রুম ব্যবহার করে এই সমস্ত খরচগুলো কমিয়ে বেচে যাওয়া অর্থটুকু সঞ্চয় করতে পারেন।
মনে রাখবেন দামী বিলাসবহুল মার্কেটগুলো আপনাকে যেমন সেবা দিচ্ছে, ঠিক তেমনিভাবে আপনার কাছে থেকে সেই খরচ উঠিয়ে নিচ্ছে। তাই বিলাসবহুল মার্কেটগুলোতে পণের দাম অনেক বেশি থাকে। আপনি যদি অর্থ সঞ্চয় করতে, তবে এটি আপনার জন্য একটি ভাল উপায় হবে। আজ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস সাধারণ মার্কেট থেকেই ক্রয় করুন। তাহলে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট অর্থ জমাতে পারবেন।
This post was last modified on জানুয়ারী ২১, ২০১৯ 8:26 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে চামড়ায় টান ধরা নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে সমস্যা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অসতর্কতাবশত: হাত থেকে পড়ে গেলেও ফোনের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন কমাতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করা যাবে না, কারণ তাড়াহুড়া করলেই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম ওটিটি প্লাটফর্ম আইস্ক্রিনে স্ট্রিমিং হতে চলেছে সুপারস্টার শাকিব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নেওয়া, সাংবাদিককে হুমকি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাতিশালের মধ্যে ঘুমোচ্ছে পুচকে একটি বাচ্চা হাতি। শাবকের ঘুম ভাঙাতে…