দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্ষুধা লাগা ভাল, তবে বার বার ক্ষুধা লাগা কোন ভাল লক্ষণ হতে পারে না। শরীরের কোন না কোন সমস্যার কারণেই মুলত বার বার ক্ষুধা লাগে। আজ আমরা ক্ষুধা লাগার বেশ কিছু কারণ সম্পর্কে জানবো।
১। রাতে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ:
রাতে যখনি বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার গ্রহণ করবেন, তার কিছুক্ষণ পরই আবার ক্ষুধা লাগতে পারে। কারণ বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ফলে শরীর চিনির মতোই তা খুব দ্রুত শুষে নেয়। তাই রাতে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের পরিবর্তে মিষ্টি আলু, বাদামি চাল, মাছ বা মুরগি, ব্রকলি ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করতে পারেন। তাহলে কিছুক্ষণ পর আর ক্ষুধা লাগবে না।
২। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়াঃ
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনার বার বার ক্ষুধা লাগতে পারে। কারণ পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার ফলে শরীরের বেশি পরিমাণে ক্যালরী খরচ হয়ে যায়। ফলে দ্রুত আবার ক্ষুধা লাগতে পারে। কম ঘুমের কারণে ক্ষুধা জনিত হরমন ঘ্রেলিন বৃদ্ধি পায়, যা শরীরে পুষ্টির অপ্রয়োজনীয়তা থাকা সত্বেও বার বার ক্ষুধা লাগাতে সাহায্য করে।
৩। ওষুধ সেবনঃ
বিভিন্ন ধরণের ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়া স্বরুপ বারবার ক্ষুধা লাগতে পারে। তবে এক্ষেত্রে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। ওষুধ সেবন শেষ হলে এই সমস্যা ভাল হয়ে যেতে পারে। তবে বেশি সমস্যা মনে হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ পরিবর্তন করতে পারেন।
৪। ডিহাইড্রেশনঃ
অনেক সময় আমরা ডিহাইড্রেশন সমস্যার কারণে বুঝে উঠতে পারি না আসলে ক্ষুধা লেগেছে নাকি পানি পিপাসা লেগেছে। চিকিৎসক লেভিনের মতে, “ ডিহাইড্রেশন সমস্যার কারণে পানি পিপাসার পাশাপাশি ক্ষুধাও লাগতে পারে। তবে পানি পান করলেই যদি বুঝতে পারেন ক্ষুধা চলে গেছে, তাহলে এটি কোন সমস্যা নয়। তাই দিনে পর্যাপ্ত পানি (৮ থেকে ১০ গ্লাস) পান করুন।
৫। পরিমান মত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়াঃ
যখনি আপনি শরীরের জন্য যতটুকু পুষ্টি প্রয়োজন ততটুকু খাবার না খাবেন, তখনি আপনার আবার ক্ষুধা লাগতে পারে। কারণ শরীর তার প্রয়োজন মত পুষ্টি না পেলে মস্তিষ্ককে বারবার ক্ষুধার কথা মনে করিয়ে দিবে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
৬। অতিরিক্ত শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রমঃ
কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রম করেন, তবে তার শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরী খরচ হয়ে থাকে। ফলে দ্রুত ক্ষুধা লাগাটাই স্বাভাবিক। তাই বেশি পরিশ্রম করলে আপনাকে অবশ্যই বেশি খাবার গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া আরো নানা সমস্যার কারণে দ্রুত বা বার বার ক্ষুধা লাগার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বেশি সমস্যা মনে করলে বা নিজ থেকে তার সমাধান খুঁজে না পেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।