দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের গাড়ি শিল্পকে আরেকধাপ এগিয়ে নিতে এবার দেশেই তৈরি হতে যাচ্ছে ইলেকট্রিক কার। ইতিমধ্যে নিটল মটরস এবং তার পার্টনার হিসেবে দুইটি চাইনিজ কোম্পানি এবং একটি যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির সমন্বয়ে, পাবনায় ১০ একর জায়গার উপর এই প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়েছে। শীঘ্রই তারা গাড়ি তৈরির প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি আমদানি করবে।
ইলেকট্রিক কার ২০১৮ সালে বিশ্ববাজারের প্রায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ স্থান দখল করে নিয়েছে যা গত ২০১৭ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। বর্তমানে চায়না, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান নরওয়ে, এবং ইংল্যান্ড ইলেকট্রিক কার ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু হয়েছে। এমনকি আগামীতে নতুন নিবন্ধিত গাড়ির প্রায় এক-চতুর্থাংশ ইলেকট্রিক কার তৈরি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নিটল মটর’স এর চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশে তারা যে ইলেকট্রিক কার তৈরির কাজ শুরু করেছেন, সেই কারের নাম দেওয়া হয়েছে সুভার।
এটি সাধারণ কারের সাইজেই তৈরি করা হবে যার সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার। জালানির পরিবর্তে এই কার ইলেকট্রিক ব্যাটারিতে রাসায়নিক শক্তি মজুত করে রাখবে এবং এই শক্তি ব্যবহার করেই মূলত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে। এই কার মাত্র ৩০ মিনিট চার্জ দিলে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারবে। এর ব্যাটারির ধারণ ক্ষমতা ঘন্টায় ২৫ কিলোওয়াট যা একবার চার্জ করতে খরচ হবে মাত্র ১৭০ টাকার মত। ব্যাটারির ওয়ারেন্টি দেওয়া হবে ৬ বছর পর্যন্ত।
খুব শীঘ্রই দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য হাইওয়েতে স্থাপন করা হবে চার্জ রিফিল স্টেশন। সেই সাথে ফাস্ট চার্জিং প্লাগ সিস্টেম ব্যবহার করে বাড়িতেও কার চার্জ করাতে পারবেন। এই ইলেকট্রিক কারে জ্বালানী চালিত ইঞ্জিন না থাকায়, এর সমস্ত যন্ত্রাংশ দেশীয় বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাবে। ফলে কোন ঝামেলা সৃষ্টি হবে না।
এত সব সুবিধা থাকা সত্বেও গারিটির প্রাথমিক মূল্য ধরা হবে মাত্র ১২ লাখ টাকা। এই প্রজেক্টের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। তারা প্রতি বছরে ২০ হাজার ইউনিট কার তৈরি করবে বলে আশা করছে। যার মধ্যে ২০২০ সালের মার্চে প্রথমবারের মত বাজারজাত করার জন্য একটি মডেলের ৫০০০টি কার তৈরি করবে।
আব্দুল মাতলুব আহমাদ আরো আশা করছেন, পরিবেশ বান্ধব এবং সাশ্রয়ী খরচের জন্য তাদের তৈরি এই কার শীঘ্রই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।