রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন কথাটি কি আদৌ সত্য?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা কাওকে না কাওকে বলতে শুনেছি রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। সাধারণত কেউ রেগে গেলে তার রাগ কমানোর জন্য এমন কথা বলা হয়। তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন, প্রকৃতই কি রেগে গেলে আপনি হেরে যাবেন? নাকি রেগে যাওয়ার কারণেই আপনার একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যাবেন?

আজ আমরা আলোচনা করব রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন কথাটি কতটা সত্য।

উক্তিটির পক্ষে যুক্তিঃ

সাধারণত মানুষ যখন রেগে যায়, তখন তার মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়। ফলে সে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারে। আর এই সময় সে উল্টা-পাল্টা কাজ করে বসতে পারে।
মানুষের মনে এমন কিছু কথা লুকায়িত থাকে যা স্বাভাবিক অবস্থায় সে বলতে পারে না। যখনি কোন একটি বিষয় নিয়ে আপনি রেগে যাবেন, তখনি সেই অনাকাঙ্খিত কথাগুলো বলে ফেলতে পারেন যা অন্যদের সাথে আপনার ঘনিষ্ঠতা নষ্ট করে দিতে পারে।

আগেই বলেছি মানুষ রেগে গেলে তার মস্তিষ্কের উপর অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। এর ফলে এমন কিছু কান্ড ঘটিয়ে ফেলতে পারেন যা সুস্থ মস্তিষ্কে আপনার পক্ষে কখনই সম্ভব হবে না। যেমন আপনার কোন প্রিয় জিনিস হয়ত রেগে গিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছেন। অথচ সুস্থ মস্তিষ্কে সেই জিনিসের গায়ে একটি আঁচড় ও লাগতে দেন না।

অনেক সময় কারোর উপর রাগ করে আপনি হয়ত এমন কোন সুযোগ মিস করলেন যার জন্য পরবর্তীতে আপনাকে আফসোস করতে হবে। এছাড়া রেগে যাওয়ার আরো নানা অপকারিতা রয়েছে।

উক্তিটির বিপক্ষে যুক্তিঃ

সব সময়ই যে রেগে গেলে আপনার ক্ষতি হবে এমন নয়। মাঝে মাঝে রেগে যাওয়ার কারণে নানা উপকারও হয়। প্রথমেই ধরুন কোন একটি কাজ আজ করব কাল করব বলে ফেলে রেখেছেন। হঠাৎ করেই সেই কাজের জন্য আপনাকে নানা কথা শুনতে হল। আর সেই সাথে আপনিও রেগে গিয়ে তখনি সেই কাজটি সমাধান করে ফেললেন। ফলে আপনার সেই বেঁধে থাকা কাজটি সমাধান হয়ে গেল। এটা কিন্তু রেগে যাওয়ার একটি ভালো গুণ।

কাওকে হয়ত এমন কোন কথা বলা জরুরী যা স্বাভাবিকভাবে বলা সম্ভব নয়। আবার না বললেও অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আপনি রেগে গিয়ে সেই কথাটি যখনি বলে দিবেন, তখনি আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। ফলে রেগে যাওয়ার কারণে খুব ভাল একটি উপকার পেয়ে যাবেন।

উক্তিটির পক্ষে এবং বিপক্ষের যুক্তি অনুযায়ী বোঝা যায় কথাটি সম্পুর্ণ সঠিক নয়। আবার সম্পুর্ণ ভুলও নয়। তবে ভালো চেয়ে খারাপ গুণই বেশি। অর্থাৎ হেরে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।