দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার রাশিয়ার রণতরিতে এমন এক নতুন অস্ত্র সংযোজন করা হয়েছে। যে অস্ত্র প্রয়োগে শত্রুকে সাময়িকভাবে অন্ধ করে দেওয়া যাবে, যে কারণে নিজ অস্ত্র ব্যবহার সক্ষমতা হারাবে শত্রুপক্ষ!
এবার রাশিয়ার রণতরিতে এমন এক নতুন অস্ত্র সংযোজন করা হয়েছে। যে অস্ত্র প্রয়োগে শত্রুকে সাময়িকভাবে অন্ধ করে দেওয়া যাবে, যে কারণে নিজ অস্ত্র ব্যবহার সক্ষমতা হারাবে শত্রুপক্ষ! শত্রুর দৃষ্টি বিভ্রম ঘটাবে এবং অবাস্তব জিনিস চোখে দেখতে শুরু করবে শত্রুপক্ষ। পাশাপাশি শত্রুর শুরু হবে বেদম আকারে বমি।
‘নন-লেথাল’ বা ‘অ-মারণাস্ত্র’ শ্রেণির এ অস্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘৫পি-৪২ ফিলিন’ বা ‘ইগল-প্যাঁচা।’ এর প্রয়োগে শত্রু প্রাণে মারা পড়বে না তবে যুদ্ধের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।
এই অস্ত্র প্রচণ্ড আলোর ঝলকানি সৃষ্টি করবে যে কারণে, বিশেষ করে রাতের লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হবে শক্র সেনারা। অস্ত্রটি নির্মাণ করেছে রাশিয়ার রুসেলইলেক্ট্রনিকস নামক একটি সংস্থা।
স্বেচ্ছাসেবী সেনাদের ওপর এই অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে যে, তারা মোটেও লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করতে পারছেন না। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪৫ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবী বলেছেন যে, তাদের মধ্যে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাবের উপসর্গ দেখা দিয়েছে, সেই সঙ্গে মন সংযোগ কিংবা ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করার সক্ষমতাও হারিয়েছেন তারা। অপরদিকে ২০ শতাংশরা জানিয়েছেন যে, তাদের দৃষ্টিবিভ্রম ঘটেছে এবং চোখের সামনে উজ্জ্বল আলোর গোলককে ছোটাছুটি করতে দেখেছেন তারা। অবশ্, পরীক্ষায় কতোজন স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছিলেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
‘৫পি-৪২ ফিলিন’ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ‘নাইট ভিশন’ কিংবা ‘নিশি নয়ন প্রযুক্তি’ পুরো অকেজো করে দেওয়া গেছে। সেই সঙ্গে ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু নির্ণয় পদ্ধতিও অকেজো হয়েছে। অকেজো হয়ে গেছে দূরত্ব নির্ণয়ের কাজে ব্যবহৃত সেন্সর বা স্পর্শকও।
রুশ নৌবাহিনীর নর্দার্ন সি ফ্লিটের অত্যাধুনিক রণতরি অ্যাডমিরাল গোরশেকোভ ও অ্যাডমিরাল কাসাতোনোভে এই অস্ত্রটি বসানো হয়েছে। এ ছাড়াও বর্তমানে নির্মীয়মাণ আরও দুইটি রুশ ফ্রিগেটে এই অস্ত্র বসানো হবে বলে খবরে প্রকাশ পেয়েছে।
যদি সত্যিই ওই রুশ অস্ত্রগুলো এমন কাজ করতে সক্ষম হয়, তাহলে যুদ্ধক্ষেত্রে এই অস্ত্র ব্যবহারের কারণে শত্রুপক্ষকে খুব সহজেই ঘায়েল করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।