দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গেলে সেখানে যেসব জীব-জন্তু থাকে তাদের খুব কাছাকাছি যাওয়া যায় না। সেটিই স্বাভাবিক। তবে মাঝে মধ্যেই বেকায়দায় পড়তে হয় দর্শনাথীদের। যেমন হয়েছিলো ৮ বছর বয়সী এক মেয়ের!
আমাদের অনেক সময় এমন বিব্রতকর বা ভয়ংকর কোনো কিছুর মুখোমুখি হতে হয়। তখন যেনো জীবনের এক বিশাল অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। সারাজীবন এমন ঘটনা আমাদের তখন তাড়া করে ফেরে। তবে বাস্তবে এমন ঘটনা খুব কমই ঘটে থাকে। যেমন ঘটেছিলো মাত্র ৮ বছর বয়সী এক কিশোরীর ক্ষেত্রে। চিড়িয়াখানায় বেড়াতে এসে পান্ডার খাঁচায় পড়ে যায় ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে। প্রায় ১০ ফুট উঁচু পাঁচিল। সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে পেল্লাই ২ পান্ডা। কি ভয়ংকর এক পরিস্থিতি অন্তত এমন খুদে কিশোরীর জন্য তো বটেই। কান্না ছাড়া প্রাণ বাঁচানোর কোনও পথ নেই ওই এক রত্তি মেয়েটির।
একটা লম্বা লাঠি ঝুলিয়ে মেয়েটিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিড়িয়াখানার কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী। বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মেয়েটির মা-বাবা ও নিকট আত্মীয়রা। এই বুঝি মেয়েটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে পান্ডারা- এমন উত্কণ্ঠায় মুহূর্ত পার করছেন অন্যন্য পর্যটকরাও। তার মধ্যে আবার তৃতীয় একটি পাণ্ডারও প্রবেশ ঘটে। শঙ্কার পারদ যেনো আরও বেশি করে চড়তে থাকে। হাড়হিম করা এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলো চীনের সিনচুয়া প্রদেশের একটি চিড়িয়াখানার কয়েক শত দর্শনার্থী।
অবশেষে ঘটনার পরিণতি কী হলো সেটি নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ বেড়েছে সেটিই স্বাভাবিক। ভিডিওতে দেখা গেছে, নিরাপত্তারক্ষীর নিরলস পরিশ্রমে অবশেষে অক্ষত অবস্থায় পান্ডাদের হাত হতে উদ্ধার করা হয়েছে ওই শিশুটিকে। সন্তানকে কাছে পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন মেয়েটির মা-বাবা ও আত্মীয়স্বজন। পান্ডা সাধারণত শান্ত স্বভাবের জন্তু হলেও এতোগুলো পর্যটকদের চিত্কারে বড়সড় কোনো অঘটনও ঘটে যেতে পারতো বলে আশঙ্কা ছিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। তবে সেটি ঘটেনি। শেষ পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থির অবসান ঘটেছে শান্তিপূর্ণভাবেই। যা সকলের কাছেই কাম্য ছিলো।
তবে একটি বিষয় সকলেরই জানা রাখা দরকার। আর সেটি হলো, কখনও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে চিড়িয়াখানা বা বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলে সব সময় সাবধান হতে হবে। কখনও কোনো কিছুই অবহেলা করা যাবে না। কারণ সামান্য অবহেলা হয়তো বড় কোনো বিপদ ডেকে আনতে পারে আমাদের জীবনে।
দেখুন ভিডিওটি