দি ঢাকা টাইমস ডেস্ক ।। মাদক প্রতিটি দেশের জন্য একটি অভিশাপের নাম। প্রতিবছর মাদকে আসক্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার সুন্দর জীবন। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তার পরিবার, সমাজ এবং দেশ। কিছু অসাধু ব্যক্তিদের কারণে নানা চেষ্টা করেও মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তবে নিজেরা একটু সতর্ক হলেই আমাদের যুব সমাজকে এই ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করা সম্ভব। একজন ছেলে বা মেয়ে হঠাৎ করেই হেরোইন, ইয়াবার মত নানা ধরণের মাদকে আসক্ত হয় না। ধীরে ধীরে তারা এই পথে ধাবিত হয়।
তাই মাদকের এই ছোবল থেকে সমাজ এবং দেশকে বাঁচাতে হলে প্রথমেই আমাদের সন্তানদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আজ আমরা জানবো কিভাবে আমাদের যুব সমাজ এবং সন্তানদের এই অভিশাপ থেকে বাঁচানো যায়।
মাদকের প্রাথমিক পর্যায় বন্ধুদের মাধ্যমেই শুরু হয়। প্রথমে কোন না কোন বন্ধু হাসি ঠাট্রার মাধ্যমে একটু সেবন করতে বলে। আর তখনি শুরু হয় আপনার সন্তানের জীবনের পতন। তাই লক্ষ্য রাখুন আপনার সন্তান কাদের সাথে মেলামেশা করে। তাদের ব্যবহার এবং গতিবিধি কোথায় কেমন তা লক্ষ্য রাখুন। যদি বুঝতে পারেন আপনার সন্তান কোন মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করে, তবে দ্রুত তা স্থগিত করার প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
আপনার সন্তান টাকা চাইলো আর আপনি অমনি টাকা দিয়ে দিলেন। কখনো কি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন? আপনার থেকে যে কথা বলে টাকা নিয়েছে, সে কি সেই কাজেই টাকা খরচ করছ, নাকি অন্য কোন কাজে টাকা খরচ করছে? তাই সন্তান টাকা চাইলেই দিয়ে দিবেন না, সে ওই টাকা কোন কাজে ব্যয় করছে তা লক্ষ্য রাখুন।
প্রতিটি ধর্মই মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলে। তাই আপনার সন্তানকে ধর্ম সম্পর্কিত জ্ঞান দান করুন। কারণ যার মধ্যে আল্লাহর ভয় থাকে সে কখনই মাদকে আসক্ত হতে পারে না। তার ভিতর থেকে এক বিশেষ অনুভুতি বাঁধা দান করে। তাই আপনার সন্তানকে ধার্মিক জ্ঞানে দীক্ষিত করুন।
আপনার সন্তানকে তার নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান করে তুলুন। মাদক সেবনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই যারা আগে থেকেই স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান, তারা মাদকের পিছে ছুটতে পারবে না। কারণ মাদক সেবনের মাধ্যমে তার যে স্বাস্থ্যহানী ঘটবে তা সে মেনে নিতে পারবে না।
আপনার সন্তানকে নানা ক্রিয়েটিভ বিষয়ে মনযোগী করে তুলতে পারেন। কারণ কোন ক্রিয়েটিভ বিষয় নিয়ে সে যখন ব্যস্ত থাকবে, তখন মাদকের চিন্তা তার মাথায় আসবে না। তার সেই সমস্ত ক্রিয়েটিভ বিষয় নিয়ে কাজ করতে আপনি নানা ভাবে সাহায্য করতে পারেন। ফলে আপনার সন্তান সেই কাজের প্রতি আকৃষ্ট হবে যা তাকে মাদক থেকে দুরে রাখতে সাহায্য করবে। কারণ হতাশ এবং কূল-কিনারা না পেয়েই মানুষ মাদক সেবনের পথ বেছে নেয়।
যে সন্তানের বাবা মা তার বন্ধু হয়ে যায়, সেই সন্তান খুব কমই মাদকের সাথে যুক্ত হয়। বাবা মায়ের মত ভাল বন্ধু আর কেউ হতে পারে না। কারণ ভাল বন্ধু তাকেই বলে যে কখনই অপর বন্ধুর খারাপ চায় না। আর বাবা-মা সর্বদায় তার সন্তানের মঙ্গল কামনা করে। তাই যে সকল সন্তানের বাবা-মা তার বন্ধু হয়ে যায় সে মাদকাসক্ত হতে পারে না।
তাই আজ থেকেই মাদককে না বলুন। সেই সাথে নিজে সচেতন হউন এবং অন্যকে সচেতন হতে সাহায্য করুন।
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০১৯ 1:09 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…