দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রকৃতি সকলকেই টানে, এটিই স্বাভাবিক। কারণ প্রকৃতির মধ্যে গেলে মানুষ দুনিয়ার আর সব কিছুই ভুলে যায়। যেমন ঘটেছে ৮১ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের বেলায়। তিনি গোটা একটি দ্বীপে একাই বসবাস করেন!
প্রকৃতি সকলকেই টানে, এটিই স্বাভাবিক। কারণ প্রকৃতির মধ্যে গেলে মানুষ দুনিয়ার আর সব কিছুই ভুলে যায়। যেমন ঘটেছে ৮১ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের বেলায়। তিনি গোটা একটি দ্বীপে একাই বসবাস করেন!
আমরা কম বেশি সবাই প্রকৃতির মাঝেই থাকতে চায়। তবে চারপাশে সুবিশাল জলরাশি, অথচ কেও নেই, তবে কতোদিন এমন একটি স্থানে আপনি থাকতে পারবেন?
এমন কাজ করতে পেরেছেন ৮১ বছরের কিম সিন ইওল। ২০১৮ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর একাই এই দ্বীপটির বাসিন্দা কিম। দক্ষিণ কোরিয়ার এই দ্বীপের আশপাশের জলসীমার অধিকার রয়েছে জাপানের।
১৯৯১ সাল হতে স্বামীর সঙ্গে ২৭ বছর একটি দ্বীপেই বসবাস করতেন তিনি। কিম একজন ফ্রি-ডাইভারও। তিনি ২০১৭ পর্যন্ত সমুদ্রের তলদেশে ডুব দিয়েছেন। অসুস্থতার কারণে বছর দু’য়েক হলো এই কাজ আর করেন না।
জাপান এই দ্বীপটিকে তাকেশিমা নামে ডাকলেও কোরীয়রা বলেন ডোকডো দ্বীপ। লিয়ানকোর্টস রক নামেও দ্বীপটি অধীক পরিচিত বহির্বিশ্বের কাছে।
পর্যটক, পুলিশ, নাবিক, লাইটহাউস অপারেটর- এমন অনেকেই এই দ্বীপে বেড়াতে আসেন। বেশির ভাগ সময়ই ঝড়বৃষ্টির আশপাশের জগত হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এই দ্বীপটি। ৭০-এর দশক নাগাদ ডাইভারদের বেশ কিছু পরিবার এই দ্বীপে বসবাস করতেন। তবে আবহাওয়ার কারণেই আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে শুরু করেছে এই দ্বীপটি।
কিমের নাতি বলেছেন, তার ঠাকুরমার কাছে এটি একটি শান্তির জায়গা। তাই তিনি এখানে থাকতেই ভালোবাসেন। তাহলে কিমের সময় কীভাবে কাটে? মাছ ধরেই বেশির ভাগ সময় কেটে যায় কিমের, এমনটাই বলেছেন কিম।
একা ভালো তো আছেনই, উল্টো নিজের ছেলে এবং পুত্রবধূকেও এই দ্বীপের বাসিন্দা করতে চান কিম। পর্যটকদের কাছে ডাকটিকিট, সাবান ও সি ফুড বিক্রি করেই দিব্যি চলে যাবে তাদের সংসার, এমন মত তার।
এই দ্বীপটি সিওল হতে ৪৩৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। প্রায় ২৩০০ মিটার উঁচু একটা আগ্নেয়গিরি রয়েছে এই দ্বীপের কাছে ঠিক সমুদ্রের নীচে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দখলে থাকলেও জাপানের সঙ্গে এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বিবাদও রয়েছে গত ৩০০ বছর ধরে। দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া একটি লাইটহাউসও নির্মাণ করেছে।